রাজশাহীতে পর্নোগ্রাফি আইনের মামলায় রাশেদুল খান (৩০) ও শহিদুল ইসলাম সুমন (৩২) নামে দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের মধ্যে একজন পুলিশ সদস্য। রোববার (২ এপ্রিল) দুপুরে তাদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
এর আগে শনিবার রাতে চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোল উপজেলার ধানসুরা এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করে রাজশাহী মহানগর পুলিশের (আরএমপি) রাজপাড়া থানার একটি দল।
গ্রেপ্তার শহিদুলের বাড়ি চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর উপজেলায়। তিনি একটি মসজিদের মুয়াজ্জিন। আর রাশেদুল ইসলাম পুলিশ কনস্টেবল। আরএমপির পবা থানার বায়া পুলিশ ফাঁড়িতে কর্মরত ছিলেন তিনি। সম্প্রতি তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
জানা গেছে, গত ৫ মার্চ নগরীর রাজপাড়া থানার বহরমপুর এলাকায় এক নারীর সঙ্গে একজন শিক্ষকের আপত্তিকর ভিডিও ধারণ করেন রাশেদুল ও শহিদুল। সেই ভিডিও দেখিয়ে শিক্ষকের কাছ থেকে নগদ এবং মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে টাকা হাতিয়ে নেন দুজন। পরবর্তীতে তারা আরও টাকা দাবি করছিলেন। টাকা না দিলে ভিডিও ফাঁস করার ভয় দেখাচ্ছিলেন।
এ নিয়ে গত ২০ মার্চ পুলিশ সদস্য রাশেদুল ও তার সহযোগী শহিদুলকে আসামি করে রাজপাড়া থানায় পর্নোগ্রাফি আইনে মামলা করেন ভুক্তভোগী শিক্ষক। প্রাথমিক তদন্তে ঘটনার সত্যতা পাওয়ায় আরএমপি কমিশনার আনিসুর রহমান পুলিশ সদস্য রাশেদুলকে সাময়িক বরখাস্ত করেন।
এরপর শনিবার রাতে রাজপাড়া-থানা পুলিশ মামলার দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করে। রোববার দুপুরে তাদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
আরএমপি কমিশনার আনিসুর রহমান বলেন, কোনো পুলিশ সদস্য যদি অপরাধ করেন, তাহলে তারও ছাড় নেই। সাধারণ মানুষ অপরাধ করলে যেমন মামলা হবে, পুলিশের ক্ষেত্রেও তাই। পুলিশ সদস্য বলেই যে কেউ অপরাধ করে পার পেয়ে যাবেন, এমনটা হতে দেওয়া হবে না।