যুক্তরাষ্ট্রে কয়েক মাস কাটানোর পর ব্রাজিলে ফিরছেন দেশটির সাবেক প্রেসিডেন্ট জাইর বলসোনারো। গত জানুয়ারিতে তার সমর্থকরা দেশটির সুপ্রিম কোর্ট, কংগ্রেস ও প্রেসিডেন্ট ভবনে হামলা চালানোর পর প্রথমবার তিনি দেশে ফিরছেন। আজ বৃহস্পতিবার সকালে ব্রাজিলের রাজধানী ব্রাসিলায় পৌঁছার কথা রয়েছে তার। এর আগে লুইজ ইনাসিও লুলা দ্য সিলভার কাছে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বলসোনারোর পরাজয়কে জালিয়াতি দাবি করে তার সমর্থকরা সপ্তাহব্যাপী বিক্ষোভ করেন। এরপর ওই সব প্রতিষ্ঠানে তারা হামলা চালায়। খবর বিবিসি অনলাইনের। এদিকে, যুক্তরাষ্ট্র ত্যাগের আগে ফ্লোরিডার অরলান্ডো বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে বলসোনারো জানান, তিনি প্রেসিডেন্ট লুলা সরকারের বিরোধী দলের নেতৃত্ব দেবেন না। এর আগে অরলান্ডোর বিমানবন্দর টার্মিনালে পৌঁছে তিনি সমর্থকদের সঙ্গে কথা বলেন, তাদের সঙ্গে ছবি তোলেন। এদিকে সিএনএনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলসোনারো জানিয়েছেন, ‘একজন অভিজ্ঞ বক্তি’ হিসেবে তিনি তার লিবারাল পার্টিকে সাহায্য করবেন এবং আগামী বছরের স্থানীয় নির্বাচনের প্রচারণা জন্য সমগ্র ব্রাজিল সফর করার ইচ্ছা রয়েছে। অন্যদিকে, দেশে ফিরে বেশ কয়েকটি আইনি জটিলতার মুখোমুখি হবেন তিনি। এর মধ্যে প্রেসিডেন্ট হিসেবে লুলার ক্ষমতা গ্রহণের পর বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় হামলা ও দাঙ্গা বাধানোতে সমর্থকদের বলসোনারো উসকে দিয়েছেন—সে অভিযোগও রয়েছে, যা এখন তদন্ত চলছে। এর আগে গত বছরের ডিসেম্বরে ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট হিসেবে লুলা দ্য সিলভা শপথ নেওয়ার আগে বলসোনারো দেশত্যাগ করেন। ওই সময় তিনি যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডায় যান এবং ছয় মাসের ভ্রমণ ভিসার আবেদন করেন। গত বছরের অক্টোবরে বলসোনারো প্রতিদ্বন্দ্বী বামপন্থি লুলার কাছে অল্প ব্যবধানে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে হেরে যান। এই অল্প ব্যবধানের কারণে তার সমর্থকরা নির্বাচনে জালিয়াতির অভিযোগ আনেন এবং বিক্ষোভ করেন। পরে যা ব্রাসিলায় সহিংস ঘটনার জন্ম দেয়। বলসোনারো ওই সহিংসতার জন্য দুঃখ প্রকাশ করেছেন। তবে তার ইন্ধনে এমনটা হয়েছে, সে অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।