মিয়ানমার থেকে মুক্ত ১৯ বাংলাদেশি দেশে পৌঁছেছেন

দুবাই থেকে থাইল্যান্ডে যাওয়ার চেষ্টাকালে মানবপাচারকারীদের কবলে পড়েন ১৯ বাংলাদেশি। পরে তাদের মিয়ানমারের থাইল্যান্ড সীমান্তের কাছাকাছি মায়াওয়াডি-মেসোট অঞ্চলের বন্দী শিবিরে নিয়ে আটকে রাখা হয়। অবশেষে তাদের মুক্ত করা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার দিবাগত রাত পৌনে ২টার দিকে রাজধানীর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিকবিমানবন্দেরে অবতরণ করেন তারা।

মঙ্গলবার ইয়াঙ্গুন ও ব্যাংককের বাংলাদেশ দূতাবাসের কূটনৈতিক তৎপরতায় তাদের মুক্ত করা হয়। মিয়ানমারের বন্দী শিবিরে আটকে থাকা ১৯ বাংলাদেশিকে থাইল্যান্ডে নেওয়া হয়। সেখান থেকে তাদের দেশে ফেরত আনা হলো।

জানা গেছে, অতিরিক্ত অর্থ উপার্জনের আশায় দুবাই থেকে থাইল্যান্ড যান এ বাংলাদেশিরা। থাইল্যান্ডে নেওয়ার নামে এই বাংলাদেশিদের মিয়ানমার-থাইল্যান্ড সীমান্তের মায়াওয়াডি-মেসোট অঞ্চলের বন্দী শিবিরে নিয়ে যায় মানবপাচারকারীরা। এসব বন্দী শিবিরগুলো মূলত মিয়ানমারে অবস্থিত। সেখানে প্রায় ৩০টি বন্দী শিবির রয়েছে। থাইল্যান্ড-মিয়ানমার যৌথবাহিনী অতি সম্প্রতি অভিযান চালিয়ে এ রকম ৪/৫টি বন্দী শিবির গুঁড়িয়ে দিয়েছে। এসব বন্দী শিবিরে আইটিখাতের লোকজনদের অতিরিক্ত অর্থ আয়ের লোভ দেখিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়।

সেখানে নিয়ে যাওয়ার পর জোরপূর্বক কাজ করানো হয়, অনেক সময় টার্গেট পূরণ করতে না পারলে নির্যাতন করা হয় এবং এসব বন্দী শিবিরের এলাকা থেকে কাউকে বাইরে বের হতে দেওয়া হয় না।

সূত্রগুলো আরও জানায়, এসব বন্দী শিবির থেকে এই ১৯ জন বাংলাদেশিকে উদ্ধার করা হয়। এই নিয়ে মোট ২২ জন বাংলাদেশি মিয়ানমারের বন্দী শিবির থেকে মুক্ত করা হয়।

এর আগে, এমন একটি বন্দি শিবির থেকে এক বাংলাদেশি পালিয়ে মিয়ানমারের ইয়াঙ্গুনে এসে আশ্রয় নেন। বিষয়টি তখন ইয়াঙ্গুনের বাংলাদেশ দূতাবাস জানতে পারে। ওই বাংলাদেশি প্রায় একমাস ইয়াঙ্গুনে আশ্রয় নেওয়ার পর বাংলাদেশ দূতাবাসের কূটনৈতিক তৎপরতায় দেশে ফেরেন। এরপর অন্য বাংলাদেশিদের উদ্ধারের জন্য বাংলাদেশ দূতাবাস মিয়ানমারের সঙ্গে কূটনৈতিক চ্যানেলে যোগাযোগ করে।