ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু রোববার রাতে ঘোষণা করেছেন, তিনি শিন বেত (ইসরাইলি নিরাপত্তা সংস্থা) প্রধান রোনেন বারকে বরখাস্ত করার প্রস্তাব মন্ত্রিসভায় উত্থাপন করবেন। এখনো ১৮ মাসের মেয়াদ বাকি থাকা সত্ত্বেও তাকে অপসারণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। রোববার (১৬ মার্চ) এক প্রতিবেদনে এ খবর দিয়েছে জেরুসালেম পোস্ট। রোনেন বার বর্তমানে ‘কাতারগেট’ কেলেঙ্কারির তদন্তের নেতৃত্ব দিচ্ছেন, যেখানে নেতানিয়াহুর শীর্ষ কয়েকজন সহযোগীর বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে, তারা কাতারের কাছ থেকে অর্থ নিয়েছেন। এ সব সহযোগীরা কাতারের সঙ্গে জিম্মি বিনিময় সংক্রান্ত স্পর্শকাতর আলোচনা পরিচালনার দায়িত্বেও ছিলেন। সাধারণত এ ধরনের অপরাধ তদন্তের দায়িত্ব পুলিশের হাতে থাকে, কিন্তু জাতীয় নিরাপত্তার বিষয় জড়িত থাকায় শিন বেতই তদন্তের প্রধান দায়িত্ব নিয়েছে। তবে নেতানিয়াহু আদৌ রোনেন বারকে বরখাস্ত করতে পারবেন কিনা, তা অনিশ্চিত। ইসরাইলের অ্যাটর্নি জেনারেল গালি বাহারাভ-মিয়ারা বা দেশটির উচ্চ আদালত রায় দিতে পারেন যে, শীর্ষ সহযোগীদের বিরুদ্ধে তদন্ত চলাকালীন বারকে অপসারণের সিদ্ধান্ত নেতানিয়াহুর জন্য স্বার্থের সংঘাতের শামিল হবে। রোববার রাতে অ্যাটর্নি জেনারেল গালি বাহারাভ-মিয়ারা এক চিঠিতে নেতানিয়াহুকে জানিয়ে দিয়েছেন, ‘কাতারগেট’ তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত তিনি শিন বেত প্রধান রোনেন বারকে বরখাস্ত করতে পারবেন না। এর ফলে প্রশ্ন উঠেছে, নেতানিয়াহুর এই সহযোগীরা কি ব্যক্তিগত স্বার্থ বা কাতারের প্রভাবের কারণে ইসরাইলের জাতীয় নিরাপত্তা নীতিতে পক্ষপাতমূলক সিদ্ধান্ত নিয়েছেন? ইসরাইলের রাজনৈতিক মহলে বিষয়টি নেতানিয়াহুর সরকারের স্বচ্ছতা ও নিরপেক্ষতার ওপর একটি বড় আঘাত হিসেবে দেখা হচ্ছে। নেতানিয়াহুর সমালোচকরা বলছেন, ‘কাতারগেট’ কেলেঙ্কারি তার প্রশাসনের দুর্নীতি, গোপন লেনদেন এবং স্বার্থের সংঘাতকে উন্মোচন করেছে। বিশেষ করে, শিন বেত প্রধানকে বরখাস্তের পরিকল্পনাকে অনেকেই তদন্ত প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করার প্রয়াস হিসেবে দেখছেন।