ডিসেম্বরে নির্বাচন নিয়ে নতুন ‘ষড়যন্ত্র’ দেখছে বিএনপি

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের আশ্বাসের পরও চলতি বছরের ডিসেম্বরে সংসদ নির্বাচন নিয়ে নতুন ‘ষড়যন্ত্র’ দেখছে বিএনপি। কয়েকটি মহল ও সরকারসংশ্লিষ্ট কিছু ব্যক্তিবিশেষ দুরভিসন্ধি থেকে নির্বাচন বিলম্বিত করার চক্রান্ত করছেন বলে মনে করেন দলটির নীতিনির্ধারকরা।

গত সোমবার রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত স্থায়ী কমিটির ভার্চুয়াল বৈঠকে নেতাদের বিশ্লেষণে এসব তথ্য উঠে আসে। দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন।সম্প্রতি নাগরিক কমিটির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, দেশের বর্তমান আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতিতে নির্বাচন সম্ভব নয়। তাঁর এই বক্তব্যে বিএনপি নেতাদের মধ্যে প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়। তাঁরা বলেন, আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি খারাপের জন্য দায়ী সরকার। দেশের ওপর সরকারের নিয়ন্ত্রণ নেই।ফলে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি ভালো হওয়ার লক্ষণও নেই। তাঁরা প্রশ্ন তোলেন, আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি ভালো না হলে কি নির্বাচন অনন্তকাল হবে না?

বৈঠকের বিষয়ে কমিটির একজন সদস্য বলেন, সরকারের ওপর নির্বাচনের চাপ বাড়ালেও দূরত্ব তৈরি করতে চায় না বিএনপি। সরকারকে আস্থায় রেখেই নির্বাচন আদায় করার কৌশলে এখনো আছেন তাঁরা।

স্থায়ী কমিটির বৈঠকে একাধিক নেতা বলেন, বিদেশি কূটনীতিকদের সঙ্গে কথা বলে যা বোঝা গেছে, তাতে দেশের জন্য ভালো কোনো সংবাদ নেই।সামনে পরিস্থিতি আরো খারাপ হতে পারে বলেও ধারণা তাঁদের।

বৈঠকে নেতাদের কেউ কেউ প্রশ্ন তোলেন, জাতীয় ঐকমত্য কমিশন রাজনৈতিক দলগুলোকে সংলাপের জন্য আমন্ত্রণ বা সংবিধানের মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে সংলাপ করতে পারে কি না?

নির্বাচন অনুষ্ঠানে সরকারের ওপর চাপ বাড়াতে ঈদের পর কর্মসূচির গতি বাড়ানোর পরামর্শও দেন কয়েকজন নেতা।

তাঁরা বলেন, সংলাপে শুধু নিবন্ধিত নাকি অনিবন্ধিত সংগঠনও থাকবে সেটাও স্পষ্ট হতে হবে। শুধু নিবন্ধিত দল নিয়ে সংলাপ হলে জামায়াত ও ছাত্রদের নতুন দল আমন্ত্রণ পাবে না। আবার অনিবন্ধিত দলের সঙ্গে সংলাপ হলে অনেক দলকে আমন্ত্রণ জানাতে হবে।এসব বিষয় স্পষ্ট হওয়া দরকার বলে মনে করেন দলটির নেতারা।