ঘোড়াঘাটে সবুজ রঙে দুলছে রোবো ধান

ফাহিম হোসেন রিজু :
দিনাজপুরের ঘোড়ঘাটে খেতে সবুজ রঙের গালিচায় মোড়ানো খেতে বাতাসে দুলছে বোরো ধানের। সম্প্রতি এমনটাই দেখা মিললো।
কৃষকের সব মনোযোগ এই মাঠের দিকেই। কৃষকদের কেউ সেই জমিতে আগাছা পরিষ্কার করছেন, কেউ পোকা দমনে ওষুধ স্প্রে করছেন। কেউ খেতে ছিটিয়ে দিচ্ছেন সার। কেউ দিচ্ছেন সেচ। চলছে ধানখেতের নানামুখী পরিচর্যা। উপজেলার এখন যত দূর চোখ যায়, সবুজের বিস্ততি প্রতিটি মাঠে।
এই সবুজ সস্প্রতি রোপণ করা বোরো ফসলের। উপজেলার ৪টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভা সব দিকেই স্থির, শান্ত সবুজভূমি অনেক দূর পর্যন্ত চলে গেছে। মাথা তুলে দাঁড়ানো বোরো ধানের গোছা মৃদু বাতাসে দুলছে। মাঠ দিগন্ত জুড়ে চোখজুড়ানো ধুধু সবুজ প্রকৃতি, আর কিছু নেই।
সস্প্রতি ঘোড়াঘাট উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, বিভিন্ন মাঠে এরই মধ্যে সবুজ হয়ে উঠেছে বোরো ধানের চারা। এ ছাড়া প্রায় মাঠেই চারা রোপণের কাজ পৌষের শেষ ও মাঘের শুরুতে শেষ হয়ে গেছে। মাঠে দেখা গেছে, ধানের চারা শুধু মাথা তুলেই দাঁড়ায়নি, ধানের গোছা সবল হয়ে গাছ গুলো বাতাসে দুলছে। কোনো খেতে কৃষক আগাছা পরিষ্কার করছেন, কোনো খেতে আগাছা ও পোকা দমনে ওষুধের স্প্রে করা হচ্ছে।
অনেক কৃষক দুপুরবেলায় খেত দেখতে এদিক ওদিক বেরিয়ে দেখছেন। এ রকম সকাল-বিকাল অনেকেই খেতে পানি ঠিকঠাক মতো আছে কি না, খেতে পোকার আক্রমণ হয়েছে কি না, এসব ঘুরে ঘুরে দেখছেন। যত দূর চোখ
যায়, তত দূর পর্যন্ত বিস্তীর্ণ সবুজ রঙে বোরো ধানের দুল খাচ্ছে। দুপুরে খেতের আগাছা পরিষ্কার করে বাড়ি ফেরার পথে
রামেশ্বরপুর গ্রামের মমিন মিয়া বলেন, ‘মাঘ মাসের প্রথম দিকেই চারা রোয়ার (রোপণ) কাজ শেষ হয়ে গেছে। এখন মাঝেমাঝে কিছু পোকার আক্রমণ আছে। এ ছাড়া আর সমস্যা দেখছি না। ধান তো ভালই দেখছি তিনি জানান, এখন আগাছা পরিষ্কারের কাজ চলছে। আগাছা পরিষ্কার করাতে একজন শ্রমিককে রোজ ৫০০ টাকা দিতে হয়।
তিনি ব্রি-২৯ ও ৮৯ জাতের বোরো ধান চাষ করেছেন।
তবে বোরো ফসল দিয়ে আমনের ক্ষতি পোষানো কঠিন হবে বলে মনে করেন। বোরো চাষ করে আমন ধানের ক্ষতি পোষানো কঠিন বলে মনে করেন খামারের জাইদুল ইসলাম। তিনি প্রতিবেদককে বলেন, ‘সময়মতো ধান রোপণ করতে হয়েছে আমাদের। তবে এখন আমাদের রোপণ শেষ।
এবার আমাদের এলাকার সারের দাম বাড়ছে, ওষুধের দাম বাড়ছে। আমরা কৃষকেরা সম্পূর্ণরূপে ক্ষতিগ্রস্ত।