হাতে সময়ের বড্ড অভাব। অফিসে ১০-১২ ঘণ্টা পরিশ্রম করে বাড়ি ফিরে ব্যায়াম করতে অনেকেরই আলস্য আসে। তাই সকালে যতটুকু সময় বাঁচে, শরীরচর্চা করে ফেলেন কেউ কেউ। শুরুতেই কঠিন ব্যায়াম করা যায় না। একটু ওয়ার্ম আপ করতে হয়। ধরে ধরে ওয়ার্ম আপ করতেই অনেকটা সময় লেগে যায়। কোনটা করবেন, আর কোনটা বাদ দেবেন তাই নিয়ে রোজই নিজের মধ্যে দ্বন্দ্ব চলে। এই সব সমস্যা এড়াতে ইচ্ছে থাকলে কিন্তু বাড়িতেই আধ ঘণ্টা সময় বার করে যোগাসন বা ব্যায়াম অভ্যাস করা যায়। কেবল রোগা হতেই নয়, নানা রকম রোগবালাই ঠেকিয়ে রাখতেও নিয়ম করে যোগাসন করা প্রয়োজন। অবশ্য সঠিক নিয়ম মেনে যোগাসন করলে তবেই মিলবে ফল। শরীর চাঙ্গা রাখতে কোন কোন আসন অভ্যাস করতে পারেন, খোঁজ নিল আনন্দবাজার অনলাইন। রইল আসন আসান করার পদ্ধতির হদিস। আজকের ব্যায়াম মালাসন। ইংরেজিতে যাকে ‘গারল্যান্ড পোজ়’ বলা হয়।
কী ভাবে করবেন?
১ প্রথমে মাটিতে বসুন। পিঠ যেন টান টান থাকে।
২ তার পর দুই পা দু’দিকে দিয়ে, হাঁটু মুড়ে উবু হয়ে বসুন।
৩ দু’পা যথা সম্ভব কাছাকাছি রাখুন।
৪ হাত দু’টি নমস্কারের ভঙ্গিতে একসঙ্গে জড়ো করুন।
৫ প্রণাম করার ভঙ্গিতে দু’টি হাত এমন ভাবেই রাখবেন যেন দু’টি কনুই দুই হাঁটু স্পর্শ করতে পারে।
৬ টানা ৩-৪ মিনিট এই আসনে থাকার পর ধীরে ধীরে স্বাভাবিক অবস্থায় আসুন।
সতর্কতা:
হাঁটুর ব্যথা থাকলে এই আসন এড়িয়ে চলাই ভাল। পিঠে, গোড়ালিতে, নিতন্বে চোট-আঘাত থাকলে এই আসন না করাই ভাল।
কেন করবেন?
অনিয়মিত ঋতুস্রাব, ঋতুস্রাব চলাকালীন ব্যথা-যন্ত্রণা লাঘব করতে এই ব্যায়ামের জুড়ি মেলা ভার। কোমর, হাঁটু, হ্যামস্ট্রিং এবং পেটের পেশি মজবুত রাখতেও এই ব্যায়ামের যথেষ্ট ভূমিকা রয়েছে। যাঁদের দীর্ঘ ক্ষণ বসে বসে কাজ করতে হয়, তাঁদের জন্যেও মালাসন কার্যকরী। হজমের সমস্যা থাকলে তা-ও নিরাময় করতে পারে। একটা বয়সের পর মেয়েদের মূত্রথলির পেশির সক্রিয়তা কমে আসে। ফলে মূত্র ধরে রাখতে সমস্যা হয়। নিয়মিত মালাসন করলে এই সমস্যাও ধীরে ধীরে নিয়ন্ত্রণে চলে আসে। তাই হাতে খুব বেশি সময় না থাকলেও এই একটি ব্যায়াম অভ্যাস করা সব বয়সিদের জন্যেই ভাল। সূত্র: আনন্দবাজার