নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের প্রধান ড. বদিউল আলম মজুমদার বলেছেন, “গত তিনটি সংসদ নির্বাচন বিতর্কিত ছিল। সে সময় নির্বাচন কমিশনার হিসেবে যারা দায়িত্ব পালন করেছেন, তারা সংবিধান অনুযায়ী তাদের নিরপেক্ষতার শপথ ভঙ্গ করেছেন।”
বদিউল আলম মজুমদার বলেন, “বাংলাদেশে নির্বাচন ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে। সুষ্ঠু গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা ফিরিয়ে আনতে এই নির্বাচন ব্যবস্থাকে কীভাবে সংস্কারের মাধ্যমে কার্যকর করা যায়, সে উদ্দেশ্যে নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশন গঠন করা হয়েছে। দায়িত্ব অনুযায়ী সকল অংশীজনের মতামত গ্রহণ করে আমরা এ বিষয়ে প্রতিবেদন জমা দেব। কীভাবে নির্বাচন কমিশন গঠিত হলে এটি স্বাধীন ও কার্যকরভাবে দায়িত্ব পালনে সক্ষম হবে, সে বিষয়ে আমাদের সবাইকে ভাবতে হবে। একই সাথে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনের প্রতিবন্ধকতাগুলো চিহ্নিত করে তা দূর করতে হবে।”
তিনি আরও বলেন, ‘বিদ্যমান ভোটার তালিকায় কিছু অসঙ্গতি রয়েছে। জনসংখ্যার বিবেচনায় ভোটার তালিকায় নারী ভোটারের সংখ্যা কমে গেছে। তালিকা সঠিক না হলে নির্বাচন ব্যাহত হবে। ভোটার তালিকা সংশোধন, জনগণের অভিযোগ বিবেচনায় নিয়ে প্রয়োজনে সংসদীয় আসনের সীমানা পুনঃনির্ধারণ, নির্বাচনি আচরণবিধির প্রয়োজনীয় সংশোধন, নির্বাচনে নারীদের অংশগ্রহণ বৃদ্ধিতে করণীয় বিষয়ে সবার পরামর্শ ও মতামত জানা একান্তভাবে দরকার। নির্বাচনি অপরাধের সুযোগ বন্ধ এবং নির্বাচন পর্যবেক্ষণের বিষয়ে পদ্ধতিগত অসঙ্গতি থাকলে সেগুলোর পরিবর্তন করা আবশ্যক।”
মতবিনিময় সভায় নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের সদস্য মীর নাদিয়া নিভিন ও সাদিক আরমান, খুলনার বিভাগীয় কমিশনার মো. ফিরোজ সরকার, লেজিসলেটিভ ও সংসদবিষয়ক বিভাগের যুগ্ম সচিব মো. মাহবুবুর রহমান, খুলনার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম, খুলনা মহানগর পুলিশের (কেএমপি) উপ-কমিশনার (লজিস্টিকস অ্যান্ড সাপ্লাই) এম এম শাকিলুজ্জামান প্রমুখ বক্তৃতা করেন।
সভায় নাগরিকসমাজের প্রতিনিধি, শিক্ষক, এনজিও প্রতিনিধি, নারী প্রতিনিধি ও বিশিষ্ট ব্যক্তি, ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা, সাংবাদিক, সরকারি কর্মকর্তা, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য, রাজনীতিবিদ, জেলা ও থানা নির্বাচন কর্মকর্তারা অংশ নেন। সভায় অংশগ্রহণকারীরা নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার বিষয়ে তাদের মতামত তুলে ধরেন।