ডা. রিচার্ডসন বলেন, ‘সাধারণত আমরা শারীরিক ব্যায়ামের জন্য সময় নির্ধারণ করি। তেমনি প্রতিদিন বা সাপ্তাহিক রুটিনে হাসির জন্য সময় নির্ধারণ করাও উপকারী হতে পারে।
গবেষণায় দেখা গেছে, হাসি আর্টারি প্রদাহ কমায় এবং ভালো কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়ায়।
সারা ব্রাইডস নামের এক ক্লিনিক্যাল সোশ্যাল ওয়ার্কার বলেন, হাসি মানসিক চাপ কমায় এবং হ্যাপি হরমোন ডোপামিন ও সেরোটোনিন বাড়ায়। এই হরমোনগুলো আনন্দ ও প্রেরণার অনুভূতি সৃষ্টি করে এবং ডিপ্রেশন ও উদ্বেগ কমায়।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে
নিয়মিত হাসি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়, যা শরীরকে সর্দি-কাশি এবং অন্যান্য রোগের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সাহায্য করে।
ব্যথা প্রশমিত করে
হাসির সময় শরীরে এন্ডোরফিন নিঃসৃত হয়।এটি প্রাকৃতিক ব্যথানাশক হিসেবে কাজ করে।
হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়
হাসলে মানুষের রক্ত সঞ্চালন ভালো থাকে। ফলে ফুসফুসের কার্যক্ষমতা উন্নত হয়।
দীর্ঘমেয়াদি উপকারিতা
মায়ো ক্লিনিকের তথ্য মতে, নিয়মিত হাসি ইমিউন সিস্টেমকে শক্তিশালী করে এবং মানসিক চাপ, ডিপ্রেশন ও উদ্বেগ কমাতে সাহায্য করে। এটি জীবনে ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি বজায় রাখার পাশাপাশি আত্মবিশ্বাস বাড়ায়।
বিজ্ঞানসম্মত ব্যাখ্যা
গবেষণায় দেখা গেছে, হাসি শরীরের বিভিন্ন সিস্টেম যেমন স্নায়ুতন্ত্র ও হরমোনাল সিস্টেমে ইতিবাচক প্রভাব ফেলে। এটি শরীরে অক্সিজেন সরবরাহ বাড়ায় এবং রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সহায়ক।
কীভাবে জীবনে হাসি যোগ করবেন
ডা. অলার হাসি বাড়ানোর জন্য কিছু সহজ কৌশল উল্লেখ করেছেন। সেগুলো হচ্ছে-
- মজার সিনেমা বা কমেডি শো দেখুন।
- এমন বন্ধুদের সঙ্গে সময় কাটান যারা আপনাকে হাসায়।
- হাসির যোগব্যায়াম বা মজার গেম খেলুন।
- যেকোনো পরিস্থিতিতে ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি বজায় রাখুন।
সারা ব্রাইডস বলেন, শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্য ভালো রাখতে হাসি একটি মূল্যহীন ও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াহীন একটি উপায়। এটি শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যে অসাধারণ প্রভাব ফেলে।
আপনার জীবনে হাসির অভ্যাস গড়ে তোলার মাধ্যমে দৈনন্দিন চাপ কমাতে ও জীবনকে আরো উপভোগ্য করতে পারবেন।
সূত্র : ফক্স নিউজ