টেস্টে ৪২ রানে অল আউট শ্রীলংকা

দক্ষিণ আফ্রিকাকে ১৯১ রানে অলআউট করে খুশিমনেই ব্যাটিংয়ে নেমেছিল শ্রীলংকা। কিন্তু এরপর যা ঘটল, তা শ্রীলংকার টেস্ট ক্রিকেট ইতিহাসেই প্রথম, এমনকি বড় লজ্জার। ডারবানে প্রোটিয়াদের বোলিং তোপে মাত্র ৪২ রানে অলআউট হয়েছে লংকানরা। ১৯৮২ সালে প্রথম টেস্ট খেলা শ্রীলংকার নিজেদের ইতিহাসে এটা সর্বনিম্ন স্কোর। আগের সর্বনিম্ন স্কোরটি পাকিস্তানের বিপক্ষে।

১৯৯৪ সালে ক্যান্ডিতে ৭১ রানে অলআউট হয়েছিল তারা। প্রোটিয়াদের বিপক্ষে এটা যে কোনো প্রতিপক্ষের সর্বনিম্ন রানের রেকর্ড। ২০১৩ সালে কেপটাউন টেস্টে নিউজিল্যান্ড দলটির কাছে ৪৫ রানে অলআউট হয়েছিল। এই ইনিংসে মাত্র ৮৩ বল খেলেছে লংকানরা। যা গত একশ বছরের টেস্ট ইতিহাসে সর্বনিম্ন, সব মিলিয়ে দ্বিতীয়। ১৯২৪ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে মাত্র ৭৫ বল টিকেছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। শ্রীলংকার ভুলে যাওয়ার মতো দিনে বাঁ হাতের পেসে আগুন ধরিয়েছেন মার্কো জানসেন। মাত্র ১৩ রানে তিনি নিয়েছেন ৭ উইকেট। শ্রীলংকার বিপক্ষে প্রোটিয়া বোলারদের যা সবচেয়ে ভালো ফিগার।

এই স্পেল পেছনে রাখছে কলম্বোয় ২০১৮ সালে কেশভ মহারাজের ১২৯ রানে নেয়া ৯ উইকেটকে। জানসেনের স্পেলটি এই শতাব্দীতে প্রোটিয়া পেসারদের মধ্যে সেরা। শ্রীলংকার ৫ ব্যাটার আউট হয়েছেন ডাকে, দুজন স্পর্শ করেন দুই অঙ্কের ঘর। কাগিসো রাবাদা দিমুথ করুনারত্নেকে ২ রানে বিদায় করে দেওয়ার পর একাই ব্যাটন হাতে নেন জানসেন। তিনি টানা নেন পাথুম নিশাঙ্কা, দিনেশ চান্দিমাল ও অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউজের উইকেট। অভিষেকের পর থেকে টানা ৮ ম্যাচে পঞ্চাশোর্ধ্ব রানের ইনিংস খেলে বিশ্বরেকর্ড গড়ার রেকর্ড কামিন্দু মেন্ডিসের। তিনি ছাড়া এই রেকর্ড আর কারো নেই। তাকে ১৩ রানে ফেরান জেরাল্ড কোয়েৎজে। এটাই শ্রীলংকার সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত সংগ্রহ। এরপর আবার জানসেন। এবার নেন ধনঞ্জয় ও প্রবাথ জয়াসুরিয়ার উইকেট। কোয়েৎজে কুশল মেন্ডিসকে সাজঘরের পথ দেখানোর পরের দুটি উইকেটই নেন জানসেন। ১০ রান নিয়ে অপরাজিত থাকেন লাহিরু কুমারা।