মোহাম্মদ সালাহ ও কিলিয়ান এমবাপে -দুই দলের দুই বড় তারকা অপ্রত্যাশিত পেনাল্টি মিস করলেন।তবে শেষ পর্যন্ত জয়ের হাসি নিয়ে মাঠ ছাড়লেন সালাহ।লিভারপুলও অবশেষ কাটাল রিয়াল জুজু।
ঘরের মাঠ অ্যানফিল্ডে বুধবার রাতের রিয়াল মাদ্রিদের বিপক্ষে চ্যাম্পিয়নস লীগের হাইভোল্টেজ ম্যাচটি ২-০ গোলে জিতল লিভারপুল। ১৫ বছরের বেশি সময় পর রেয়ালের বিপক্ষে জয়ের স্বাদ পেল ইংলিশ ক্লাবটি।
এর আগে সবশেষ ২০০৯ সালে রিয়ালের বিপক্ষে জয় পেয়েছিল লিভারপুল।
এরপর নবমবারের চেষ্টায় প্রথমবার সফলতার মুখ দেখে তারা। এর মধ্যে আবার হারতে হয়েছে দুটি ফাইনালেও।
মৌসুমের মাঝপথ না যেতেই ছোটখাট একটি হাসপাতালে পরিণত হয়েছে রিয়াল। তাছাড়া কিলিয়ান এমবাপ্পের ফর্মহীনতা তো আছেই। চোটের কারণে এই ম্যাচে খেলতে পারেননি দলের সেরা তারকা ভিনিসিয়ুস জুনিয়র। রক্ষণের অবস্থাও খুব একটা ভালো নেই। থিবো কোর্তোয়ার দুর্দান্ত দক্ষতার কারণে প্রথমার্ধে বেশ কয়েকবার সুযোগ থাকলেও এগোতে পারেনি লিভারপুল।
দুটো গোলই অবশ্য আসে বিরতির পর। ৫২ মিনিটে ব্র্যাডলির সঙ্গে ওয়ান-টুর করে সামনে এগিয়ে যান আলেক্সিস মাক আলিস্তার। ক্লপ এন্ড থেকে দারুণ এক শট নিয়ে ডেডলক ভাঙেন এই আর্জেন্টাইন মিডফিল্ডার।
এর মিনিট আটেক পর ম্যাচে ফেরার সুবর্ণ সুযোগ পায় রিয়াল। বক্সের ভেতর থাকা লুকাস ভাসকেজকে লিভারপুল ডিফেন্ডার অ্যান্ডি রবার্টসন মাটিতে ফেলে দিলে পেনাল্টির বাশি বাজান রেফারি। কিন্তু সেই সুযোগ কাজে লাগাতে পারেননি কিলিয়ান এমবাপ্পে। স্পটকিক থেকে তার নেওয়া দুর্বল শট ঠেকিয়ে দেন লিভারপুল গোলরক্ষক কাউয়িমিন কেলেহার।
৭০ মিনিটে পেনাল্টি পায় লিভারপুলও। এবার নিজেদের বক্সে মোহামেদ সালাহকে ফেলে দেন ফারলা মেন্দি। এরপর যথারীতি সালাহ নিজেই পেনাল্টি নিতে আসেন। কিন্তু তার শট পোস্টের বাইরে দিয়ে চলে যায়।
যদিও সেই হতাশা খুব দ্রুতই কেটে যায় স্বাগতিকদের। ৭৬ মিনিটে রবার্টসনের ক্রস থেকে হেডে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন কোডি গাকপো। এর ফলে পাঁচ ম্যাচে পাঁচ জয় নিয়ে চ্যাম্পিয়নস লিগে শীর্ষস্থান মজবুত করল লিভারপুল। অন্যদিকে ৫ ম্যাচে ২ জয়ে ৬ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের ২৪ নম্বরে আছে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন রিয়াল।