চট্টগ্রামে আইনজীবী হত্যার প্রতিবাদে ইসকনকে নিষিদ্ধের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেছে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র জনতা। আজ মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৮ টায় তারা এই বিক্ষোভ মিছিল করে। মিছিলটি বিজয়নগর পানির ট্যাংকির মোড় থেকে শুরু করে পল্টন ঘুরে আল রাজী কমপ্লেক্সের সামনে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়।
গণঅধিকার পরিষদেরদপ্তর সম্পাদক শাকিল উজ্জামান বলেন, চট্রগ্রাম কোর্ট প্রাঙ্গণে ইসকনের উগ্রবাদী সদস্যরা আইনজীবী ভাইকে কুপিয়ে হত্যা করেছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কোথায় ছিলো। কোর্ট প্রাঙ্গণে আইনজীবীরা যদি নিরাপদে না থাকে তাহলে কোথায় তারা নিরাপদে থাকবে। ইসকনের উগ্রবাদী সন্ত্রাসীরা দেশে হত্যাকাণ্ড ঘটিয়ে দেশকে নৈরাজ্যের দিকে নিয়ে যাওয়ার পায়তারা করছে। এই হত্যাকান্ডের সাথে যারা অনতিবিলম্বে তাদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনতে হবে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে এই সকল উগ্রদের কে কঠোর হস্তে দমন করতে হবে।
গণঅধিকার পরিষদের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাসান আল মামুন বলেন, বাংলাদেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট এবং চট্টগ্রামে আইনজীবী হত্যার মাস্টার মাইন্ড ভারতে পলাতক স্বৈরাচার খুনি হাসিনা। ইসকনের মাধ্যমে বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি বিনষ্ট করে বহিবিশ্বে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার অপপ্রয়াস চট্টগ্রামে আইনজীবী হত্যা। আমরা এই হত্যার বিচার দাবী করছি পাশাপাশি বাংলাদেশের জনগণকে শান্ত থাকার আহ্বান জানাচ্ছি। দেশ বিরোধী যেকোনো চক্রান্ত ছাত্র জনতা রুখে দিয়ে বাংলাদেশে দীর্ঘদিনের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষা করবে।
ঢাকা কলেজের বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের নেতা ইয়াসিন বলেন,ভারত বাংলাদশকে অস্থিতিশীল করতে চাইছে,সবাইকে সজাগ থাকতে হবে। চট্টগ্রামের হত্যার বিচার না হলে চট্টগ্রাম অভিমুখে লংমার্চের ঘোষণা দিবো।
যুবনেতা রাসেল মুনের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন, যুব অধিকার পরিষদের সভাপতি মনজুর মোর্শেদ মামুন, গণঅধিকার পরিষদের নেতা এডভোকেট নাজিম উদ্দীন , যুবনেতা মাহবুবুর রহমান, শ্রমিক নেতা রুবেল,ছাত্র নেতা সিরদাতুল রাজ প্রমুখ