আইনজীবী আলিফ হত্যাকাণ্ডের বিচার চাইলেন হাসনাত আব্দুল্লাহ

চট্টগ্রামে আইনজবীবী সাইফুল ইসলাম আলিফ হত্যাকাণ্ডের দোষীদের গ্রেপ্তার ও এ ঘটনার বিচার দাবি করলেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ। আজ মঙ্গলবার নিজের ভ্যারিফায়েড ফেসবুক আইডিতে দেওয়া এক পোস্টে এসব দাবি জানান তিনি।

হাসনাত আব্দুল্লাহ লেখেন, ‘সারাদেশের সব সাধারণ জনগণকে শান্ত থাকার জন্য অনুরোধ করছি। আপনারা ধৈর্য ধরুন, শান্ত থাকুন। নিজেরা আইন হাতে তুলে নিয়ে দয়া করে কোনো ধরনের অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টি করবেন না। আমাদের বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির বাংলাদেশ। আমরা কোনোভাবেই আমাদের এই সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট হতে দেব না। ’

তিনি লেখেন, ‘৫ আগস্টের পর থেকেই একটি মহল উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হয়ে আমাদের দেশে অরাজকতা সৃষ্টি করার জন্য ক্রমাগত চক্রান্ত করেই যাচ্ছে। দয়া করে নিজেরা নিজেরা কোন্দলে জড়িয়ে কুচক্রী এই মহলের হীন ষড়যন্ত্র বাস্তবায়নের পথ তৈরি করে দিয়েন না।’

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক লেখেন, ‘চট্টগ্রামে অ্যাডভোকেট সাইফুলের হত্যাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তার করতে হবে, বিচার নিশ্চিত করতে হবে। কোনো নির্দিষ্ট সংগঠন এ হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকলে সে সংগঠনের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে। ’

সবশেষে জন-সাধারণের উদ্দেশে তিনি লেখেন, ‘আপনারা শান্ত থাকুন, সতর্ক থাকুন, ধৈর্য ধরুন।’

উল্লেখ্য, গতকাল সোমবার রাজধানী থেকে আটক হন ইসকন নেতা চিন্ময় কৃষ্ণ দাস। গতকাল তাকে ডিবি কার্যালয়ে নেওয়া হলে তার মুক্তির দাবিতে সেখানে জড়ো হন ইসকন সদস্যরা। পরে শাহবাগ থানায় আনা হলে সেখানে জড়ো হন তারা।

জাতীয় পতাকা অবমাননার অভিযোগে রাষ্ট্রদ্রোহ আইনে করা মামলায় চিন্ময়কে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আজ আদালতে তোলা হয়। আদালত তার রিমান্ড নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

পরে তাকে কারাগারে নেওয়ার পথে প্রিজন ভ্যান আড়াই ঘণ্টা আটকে রাখে ইসকন সদস্যরা। পরে ২টা ৪৫ মিনিটে পুলিশ টিয়ারগ্যাস ও সাউন্ড গ্রেনেড ছুড়ে তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়।

এরপর ইসকন সদস্যরা বিভিন্ন গলিতে প্রবেশ করে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ শুরু করে। তারা আদালতের কেন্দ্রীয় মসজিদের জানালার কাচ ভাঙচুর করার অভিযোগ করেন মুসল্লিরা। এ ছাড়া আইনজীবীদের তিনটি প্রাইভেটকার ও পাঁচটি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করা হয়। আদালত চত্বর এলাকায় রঙ্গন কমিউনিটি সেন্টার হলের গলিতে আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফকে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে কোপাতে থাকে ইসকন সদস্যরা। পরে তার মাথায় পাথর দিয়ে আঘাত করা হয়। সেখান থেকে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।