আন্তর্জাতিক নারীর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধ দিবস

আজ ২৫ নভেম্বর, আন্তর্জাতিক নারীর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধ দিবস। নারীর প্রতি সহিংসতার অবসান ঘটানোর আন্তর্জাতিক দিবস হলো জাতিসংঘ কর্তৃক প্রবর্তিত একটি বিশেষ দিবস যার লক্ষ্য হলো নারীর প্রতি সহিংসতা রোধ করা।

‘নারীর প্রতি সহিংসতা বন্ধে ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টা’ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে দিবসটি পালিত হবে। দিবস উপলক্ষে দেশের বিভিন্ন সংগঠন দেশজুড়ে গ্রামীণ ও নগর উভয় এলাকায় সচেতনতা বৃদ্ধিতে বাল্যবিয়ে, গার্হস্থ্য সহিংসতা, মৃত্যু নিবন্ধন এবং তামাক ব্যবহারের মতো স্বাস্থ্যঝুঁকির বিষয়গুলো তুলে ধরবে।

১৯৬০ সালের ২৫ নভেম্বর লাতিন আমেরিকার দেশ ডোমিনিকান প্রজাতন্ত্রের স্বৈরাচারী শাসকের বিরুদ্ধে ন্যায়সংগত আন্দোলন করার জন্য প্যাট্রিয়া, মারিয়া তেরেসা ও মিনার্ভা মিরাবেল—এই তিন বোনকে হত্যা করা হলে তাদের স্মরণে ১৯৮১ সাল থেকে এই দিনটি আন্তর্জাতিক নারী নির্যাতন প্রতিবাদ দিবস হিসেবে পালিত হয়।

এছাড়া দিবস উপলক্ষে উন্নয়ন সংস্থা নারী মৈত্রীর প্রধান কার্যালয়ে ১৬ দিনের বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। প্রতিষ্ঠানটির নারী কর্মীরা লিঙ্গভিত্তিক সহিংসতার প্রভাব নিয়ে আলোচনা, সুরক্ষা নীতি নিয়ে অভিজ্ঞতা বিনিময় এবং ভবিষ্যতের কৌশল নির্ধারণ করবেন। এই কর্মসূচি ১০ ডিসেম্বর মানবাধিকার দিবস পর্যন্ত চলবে, যা নারী ও কন্যাশিশুর জন্য একটি নিরাপদ ও সমতাভিত্তিক ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরবে।

নারী মৈত্রীর নির্বাহী পরিচালক শাহীন আকতার ডলি বলেন, লিঙ্গভিত্তিক সহিংসতা একটি অত্যন্ত স্পর্শকাতর বিষয়। বাংলাদেশে এখনও লিঙ্গভিত্তিক সহিংসতা বন্ধ করার জন্য প্রয়োজনীয় সচেতনতার অভাব রয়েছে। লাখো নারী ও কন্যাশিশু হয়রানির শিকার হলেও তাদের কণ্ঠস্বর অবহেলিত থেকে যাচ্ছে। এই ক্যাম্পেইন একটি কার্যকর পরিবর্তন আনার গুরুত্বপূর্ণ সুযোগ করে দেবে।

আন্তর্জাতিক নারী নির্যাতন প্রতিরোধ এই কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে- বাড়ি বাড়ি গিয়ে আলোচনা, উঠান বৈঠক এবং ব্যানার ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে বাল্যবিয়ে ও অপ্রাপ্তবয়স্ক গর্ভধারণ প্রতিরোধ, মোবাইল ভ্যান ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে গণসচেতনতা বৃদ্ধি, গোলটেবিল বৈঠক এবং যালি, নাটিকা, কুইজ প্রতিযোগিতা এবং রান্নার প্রতিযোগিতার মতো কার্যক্রম। এসব কার্যক্রমে থাকবে রাজবাড়ি, রায়েরবাজার ও কল্যাণপুরের মতো কমিউনিটি পর্যায়ের কিশোর-কিশোরী এবং দম্পতিরা।

লালবাগ ও হাজারীবাগের বস্তি এলাকাগুলোতেও আলোচনা সভা, মিছিল, রোল-পেস্ন নাটক, কুইজ প্রতিযোগিতা এবং দম্পতিদের অংশগ্রহণে সৃজনশীল এবং সচেতনতা বৃদ্ধির কার্যক্রম অনুষ্ঠিত হবে।