বিশেষ পরীক্ষায় ১০ জনের ৮ জনই ফেল!

স্কুল-কলেজে ভালো নম্বর নয়, চাকরি পেতে হলে প্রয়োজন প্রায়োগিক জ্ঞানের সেটাই যেন মনে করিয়ে দিচ্ছে ভারতেরকর্ণাটক বিদ্যুৎ সরবরাহ নিগম লিমিটেড’ (কেপিটিসিএল)। সম্প্রতি তারা দুটি পদের জন্য নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে। কিন্তু স্কুল-কলেজে ভালো মার্কস পাওয়া অনেকেই পরীক্ষা দিতে গিয়ে বাদ পড়ছেন। কারণ সেখানে এই নম্বরের আগে বিশেষ এক পরীক্ষা দিতে হয়। সেই পরীক্ষাতেই ১০ জনের মধ্যে আটজন আবেদনকারীই বাদ পড়ে যাচ্ছে।

পরীক্ষাটি হলো ৮ মিটার বা প্রায় ২৬ ফুট লম্বা একটি সিমেন্টের খুঁটির একেবারে মাথা পর্যন্ত বেয়ে ওঠা। চাকরিপ্রার্থীদের প্রথমেই বলা হচ্ছে, চাকরি পেতে হলে সবার আগে ওই ৮ ফুট লম্বা কংক্রিটের খুঁটিতে সটান উঠে পড়তে হবে। বেশিরভাগ চাকরিপ্রার্থীই তা করে উঠতে পারছেন না।

কেপিটিসিএল ছাড়াও আরও পাঁচটি বিদ্যুৎ সরবরাহকারী সংস্থা একই পদে নিয়োগ করছে। কেপিটিসিএল এবং এই পাঁচটি সংস্থা – সব মিলিয়ে প্রায় ৩ হাজার পদে নিয়োগ করা হবে বলে জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম। কিন্তু সর্বজায়গায় একই সমস্যা।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়ার প্রতিবেদনে বলা হয়, এমন একাধিক চাকরিপ্রার্থী রয়েছেন, যাদের স্কুল ও হাইস্কুলের রেজাল্ট যথেষ্ট ভালো। কিন্তু, খুঁটিতে চড়তে গিয়ে বেসামাল হয়ে পড়ছেন। ফলে চাকরি মিলছে না।

সংশ্লিষ্ট প্রতিবেদন অনুসারে, যে পদগুলিতে নিয়োগ চলছে, সেগুলির পোশাকি নাম – জুনিয়র স্টেশন অ্য়াটেনড্যান্ট (জেএসএ) এবং জুনিয়র পাওয়ারম্যান। ২০১৫ সাল থেকে এই দুই পদে চাকরি পাওয়ার ক্ষেত্রে ‘পোল ক্লাইম্বিং টেস্ট’ বা খুঁটিতে চড়ার পরীক্ষা বাধ্যতামূলক করে দেওয়া হয়। এই নিয়োগ প্রক্রিয়া নিয়ে বিতর্কও শুরু হয়েছে। কন্নড়পন্থী গোষ্ঠীগুলি এই প্রত্যক্ষ নিয়োগের বিরোধিতা করে প্রতিবাদে সামিল হয়েছে।

তাদের দাবি হল, এভাবে নিয়োগ করা যাবে না। বদলে কর্ণাটক পাবলিক সার্ভিস কমিশন (কেপিএসসি) অথবা কর্ণাটক এক্সামিনেশন অথোরিটি (কেইএ)-এর দ্বারা আয়োজিত লিখিত পরীক্ষার মাধ্যমে এই নিয়োগ করতে হবে।

কেপিটিসিএল-এর আধিকারিকদের উদ্ধৃত করে সংশ্লিষ্ট প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, শুধুমাত্র খুঁটিতে চড়ার পরীক্ষা থাকার জন্যই আবেদনকারীদের মধ্যে ৮০ শতাংশ প্রথমেই ব্যর্থ হচ্ছেন।