ঢাকার মোল্লা মাহবুবুর রহমান কলেজের এইচএসসি শিক্ষার্থী অভিজিত হাওলাদারের মৃত্যু ঘিরে ‘ভুল চিকিৎসা ও তা ধামাচাপা দেওয়া’র অভিযোগ এনে ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ অ্যান্ড ইনস্টিটিউটে ভাঙচুর করেছেন ১৪টি কলেজের বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা।
যেসব কলেজের শিক্ষার্থীরা সেখানে ছিলেন, তার মধ্যে মোল্লা মাহবুবুর রহমান কলেজ, ধানমন্ডি আইডিয়াল কলেজ, ঢাকা কলেজ, সরকারি বিজ্ঞান কলেজ, গিয়াস উদ্দিন ইসলামিক মডেল কলেজ, সরকারি তোলারাম কলেজ, তেজগাঁও সরকারি কলেজ, ধনিয়া কলেজ, বীর শ্রেষ্ঠ মুন্সি আব্দুর রউফ পবলিক কলেজ রয়েছে।
আরও ছিল সেন্ট গ্রেগরী স্কুল এন্ড কলেজ, শামসুল হক খান স্কুল এন্ড কলেজ, বীরশ্রষ্ঠ নূর মোহাম্মদ পাবলিক কলেজ, শেখ বোরহান উদ্দিন পোস্ট গ্রাজুয়েট ডিগ্রী কলেজ ও ক্যামম্ব্রিয়ান স্কুল এন্ড কলেজের শিক্ষার্থীলা।
ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজের সামনে দুই থেকে আড়াই হাজার শিক্ষার্থী জড়ো হন। তারা সমস্বরে স্লোগান দিতে থাকেন। এ সময় তারা গেট ভাঙচুর করেন।
দুপুর ১২টার পর শিক্ষার্থীরা লাঠিসোঁটা হাতে নিয়ে হাসপাতালের সামনে অবস্থান নেন। হাসপাতালের প্রধান ফটক আটকানো থাকায় উত্তেজিত শিক্ষার্থীরা ভাঙচুর শুরু করেন৷ এ সময় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তাদের বোঝানোর চেষ্টা করতে গেলে তারা ‘ভুয়া ভুয়া’ স্লোগান দিতে থাকেন।
শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, অভিজিত হাওলাদার ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে ন্যাশনাল মেডিকেলে ভর্তির দুই দিন পর ১৮ নভেম্বর মারা যান। মারা যাওয়ার পর ১০ হাজার টাকা দিয়ে বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। তারা নিহত শিক্ষার্থীকে নেশাগ্রস্ত ছিলেন বলে পাল্টা অভিযোগ করেন।
ঘটনার তিন দিন পর শিক্ষার্থীরা প্রতিবাদ জানাতে আসলে কবি নজরুল কলেজ, সোহরাওয়ার্দী কলেজের শিক্ষার্থীসহ স্থানীয়রা তাদের ওপর হামলা চালায় বলে অভিযোগ করেন ১৪ কলেজের শিক্ষার্থীরা।
ধানমন্ডি আইডিয়াল কলেজের শিক্ষার্থী তাজ বলেছেন, “আমাদের এক শিক্ষার্থী ডেঙ্গু রোগের চিকিৎসার জন্য এখানে ভর্তি হয়। কিন্তু চিকিৎসকের ভুলে সে মারা যায়। সে নেশাগ্রস্ত ছিল বলে পাল্টা অভিযোগ করে হাসপাতারর কর্তৃপক্ষ, যা সম্পূর্ণ মিথ্যা, ভুয়া।”
তিনি বলেন, “গত ২১ নভেম্বর প্রতিবাদ জানাতে আসলে কবি নজরুল কলেজ ও সোহরাওয়ার্দী কলেজের কয়েকজন শিক্ষার্থী আমাদের ওপর হামলা চালায়। তারা তাদের পক্ষ নেয়। তারা আমাদের শত্রুতে পরিণত হয়েছে। তারা শিক্ষার্থী হয়ে কীভাবে সহপাঠীদের ওপর হামলা চালায়। এর প্রতিবাদে আমরা ১৪ কলেজের শিক্ষার্থীরা এখানে জড়ো হয়েছি।”
দুপুর ২টা ১৫ মিনিট নাগাদও শিক্ষার্থীরা হাসপাতালের সামনে ছিলেন। সেনাবাহিনী, পুলিশ সেখানে অবস্থান নিয়ে তাদের বোঝানোর চেষ্টা করছিল।