রাজশাহী আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে সীমাহীন দুর্নীতি-অনিয়মের প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছেন সচেতন রাজশাহীবাসী। আজ বুধবার সকালে পাসপোর্ট অফিসের সামনে সকাল ১১টা থেকে এ কর্মসূচি পালন করা হয়। ঘন্টাব্যাপী চলা কর্মসূচিতে রাজশাহী আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের নানা অনিময়-দুর্নীতি তুলে ধরেন বক্তারা। বক্তারা বলেন, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের মাধ্যমে সরকারি অনেক অফিসে ঘুষ-দুর্নীতি বন্ধ হলেও রাজশাহী পাসপোর্ট অফিসে এখনো ঘুষছাড়া কোনো ফাইল নড়ে না।
দালাল না ধরলে পাসপোর্ট হয় না। দালালদের মাধ্যে টাকা দিলে কারও পাসপোর্ট হয় না। নানা অজুহাতে হয়রানি করা হয়। মানুষকে জিম্মি করে অর্থ আদায় করা হয়। এর পেছনে পাসপোর্ট অফিসের চক্র জড়িত। তারা কৌশলে সেবাগ্রহীতাদের হয়রানি করতে থাকে নানা ভুল ধরে। এতে বাধ্য হয়ে সাধারণ মানুষ দালালদের কাছে যান। আর দালালরা সেই সুযোগে পাসপোর্ট প্রতি দেড়-দুই হাজার টাকা করে হাতিয়ে নিচ্ছে। প্রতিদিন এ পাসপোর্ট অফিসের দালালদের মাধ্যমে অন্তত তিন-পাঁচ লাখ টাকা লেনদেন হয়ে থাকে।
আর টাকা না দিলে এ অফিসে সাধারণ মানুষ পাসপোর্ট করতে পারেন না। তাদের দফায় দফায় নানা ভুল ধরে ঘুরাতে থাকেন অফিসের দায়িত্বরত কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। এমনকি সাধারণ সেবাগ্রহীতাদের সঙ্গে অসাদারচারণও করা হয় হামেশায়। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে এবং এ অফিসের উপপরিচালকের অপসারণের দাবিতে রাজশাহী নাগরিকরা রাস্তায় নেমেছেন বলেও জানান তারা।
মাববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন রাজশাহী রক্ষা সংগ্রাম পরিষদের সাধারণ সম্পাদক জামাত খান, রাজশাহী জেলা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক গোলাম মোস্তফা মামুন, আবু সাইদসহ প্রমুখ। তবে রাজশাহী আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের উপপরিচালক রোজি খন্দকার বলেন, ’রাজশাহী পাসপোর্ট অফিসে কোনো অনিয়ম হয় না। কাগজপত্র ঠিক থাকলে কাউকে হয়রানি করার সুযোগ নাই। আর বাইরে কেউ কাউকে টাকা দিলে আমাদের কিছু করার নাই।’