বাংলাদেশ সম্প্রতি মানবাধিকার ইস্যুতে অনেক উন্নতি করেছে। এ বিষয়ে কিছুদিন আগের বাংলাদেশের সঙ্গে বর্তমানের বাংলাদেশের অনেক পার্থক্য।
তিনি বলেছেন, গত দুই মাসে বাংলাদেশ অনেক ইস্যুতে কাজ করছে। আমরা কাছ থেকে পরিবর্তনগুলো দেখার চেষ্টা করছি। এই সময়ে ছাত্র-জনতার ভূমিকা প্রশংসনীয়। উন্নত দেশগুলোর তুলনায় উন্নয়নশীল দেশগুলোতে অফিস খোলার বিষয়ে জাতিসংঘের আগ্রহ বেশি থাকে কেন? এমন প্রশ্নের জবাবে ভলকার টুর্ক বলেন, আমরা সারাবিশ্বেই মানবাধিকার ইস্যুতে কাজ করছি। ইউরোপে, যুক্তরাষ্ট্রে জাতিসংঘের অফিস রয়েছে। আমরা অনেক দেশেই অফিস খুলতে চাই, কিন্তু এর সাথে আর্থিক বিষয়টিও তো জড়িত।
ভলকার টুর্ক বলেন, জুলাই-আগস্টে সংখ্যালঘুদের ওপর হামলার তদন্ত করছে ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং মিশন দল। দুঃখজনক হলেও সত্য, অনেক ভুয়া তথ্য ছড়ানো হয়েছে। তবে, সব কিছুর তদন্ত হবে। সংখ্যালঘুদের মানবাধিকার রক্ষায় আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
তিনি বলেন, ফান্ডিংয়ের অভাবে বাংলাদেশসহ নানা দেশে জাতিসংঘের মানবাধিকার সংস্থার অফিস করা সম্ভব না।
জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনার বলেন, জুলাই-আগস্টের সকল হত্যাকাণ্ডের তদন্ত করে বিচার নিশ্চিত করতে হবে। সে সাধারণ মানুষ কিংবা পুলিশ হোক। পরিবর্তিত এ সময়ে বাংলাদেশকে পূর্ণ সমর্থন করাই আমাদের কাজ।
আদালত প্রাঙ্গণে আসামিদের ওপর হামলার ঘটনায় সুষ্ঠ তদন্ত হয়নি, এ অভিযোগ করে তিনি বলেন, কমিশন গঠন করে হামলায় জড়িতদের শাস্তির আওতায় আনতে হবে।