শরণখোলা থেকে খুলনা বেনাপোল যশোর গামী পরিবহন তিন মাস ধরে বন্ধ চালুর দাবিতে মানববন্ধন

নইন আবু নাঈম তালুকদার,বাস মালিক সমিতির স্বেচ্ছাচারিতা ও খামখেয়ালী পনার কারণে বাগেরহাটের শরণখোলা থেকে খুলনা, যশোর বেনাপোলগামী গণপরিবহন প্রায় তিন মাস ধরে বন্ধ থাকায় জনগণের ভোগান্তি চরমে। তাই এ ভোগান্তি দূরীকরণে ৩০ অক্টোবর সকাল ১০ টায় সর্বস্তরের জনগণের আয়োজনে রায়েন্দার বাস স্ট্যান্ড সংলগ্ন এলাকায় মানববন্ধন করা হয়েছে।
ভুক্তভোগী যাত্রীদের সূত্রে জানা যায়, গত ৫ আগস্ট সরকার পরিবর্তনের পর শরণখোলার রায়েন্দা বাস স্ট্যান্ড থেকে খুলনা, যশোর ও বেনাপোলগামী ৭/৮ টি গণপরিবহন বন্ধ করে দেয় মালিক সমিতির কর্মকর্তারা। আর এতে ভোগান্তিতে পড়ে শরণখোলা মোড়লগঞ্জের হাজার হাজার বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ। শুধুমাত্র বিআরটিসির দুইটি বাসের সাহায্যে এই দুই উপজেলার যাত্রীদের বহন করা সম্ভব হচ্ছে না। বিশেষ করে অসহায় হয়ে পড়েছে মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্ত পরিবারের রোগীরা। কারণ এম্বুলেন্সে যাওয়ার মত সামর্থ্য অনেকরই নাই। তাই শরণখোলা মোড়লগঞ্জের সর্বস্তরের জনগণ এই দুর্ভোগের হাত থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য মানববন্ধন করেছে।
অন্য একটি সূত্রে জানা গেছে একটি মহল তাদের হীন স্বার্থ চরিতার্থ করতে ষড়যন্ত্র করে সরকারকে বেকায়দায় ফেলতে ও জনদুর্ভোগ বাড়াতে খুলনা, যশোর ও বেনাপোলগামী বিভিন্ন পরিবহনের বাসগুলি বন্ধ করে দেয়। মানববন্ধন শেষে পথসভা অনুষ্ঠিত হয় পথসভায় বক্তব্য রাখেন উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব আনোয়ার হোসেন পঞ্চায়েত,  উপজেলা বিএনপির সাবেক আহবায়ক ফজলুল হক তালুকদার, উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য নাজমুল আহসান শিমুল গাজী, তালুকদার মধু ও স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি নজরুল ইসলাম তালুকদার। সভায় বক্তারা এ সমস্যার সমাধানে প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা করেছেন।
এ ব্যাপারে মালিক সমিতির কর্মকর্তাদের সাথে যোগাযোগ করে তাদের মোবাইল ফোনে পাওয়া যায়নি।
শরণখোলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুদীপ্ত সিংহ বলেন, তিনি বিষয়টি শুনেছেন এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসকে বিষয়টি অবহিত করা সহ মালিক সমিতির কর্মকর্তার সাথে যোগাযোগ করবেন।