তিন বছর পর ‘মিস ইউনিভার্স’-এ অংশ নিতে যাচ্ছে বাংলাদেশ। এবার বিশ্বমঞ্চে লাল সবুজের প্রতিনিধিত্ব করবেন আনিকা আলম। প্রতিযোগিতা নয়, আনিকাকে সিলেকশনের মাধ্যমে চূড়ান্ত করা হয়েছে।
রোববার (২৭ আগস্ট) দুপুরে রাজধানীতে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য জানায় আয়োজক প্রতিষ্ঠানফ্লোরা এন্টারটেইনমেন্ট কর্তৃপক্ষ।
ফ্লোরা এন্টারটেইনমেন্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোস্তফা রফিকুল ইসলাম জানান, আনিকা আলম শুধু একজন আন্তর্জাতিক মেকাপ আর্টিস্ট নন, তিনি নারীর ক্ষমতায়নে এক দৃঢ় কণ্ঠস্বর, একজন নিবেদিত মা। তিনি লয়োলা মেরিমাইন্ড ইনিভার্সিটি থেকে পলিটিক্যাল সায়েন্সে ডিগ্রি নেন। এরপর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলেসের মেয়রের অফিসে কাজ শুরু করেন।
বর্তমানে জাতিসংঘের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা, বিশেষ করে ‘জিরো হাঙ্গার’ নিয়ে নিবিড়ভাবে কাজ করে যাচ্ছেন আনিকা আলম।
‘মিসেস’ হয়ে কীভাবে ‘মিস ইউনিভার্স’-এ অংশ নিচ্ছেন? এ প্রশ্নের জবাবে আয়োজনের কান্ট্রি ডিরেক্টর শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘গত প্রায় ৭০ বছর যাবত এ প্রতিযোগিতায় অবিবাহিতরা অংশ নিচ্ছিল। কিন্তু ২০২৩ সালে থেকে মিস ইউনিভার্স কর্তৃপক্ষ নতুন নিয়ম করেছে যে, বিবাহিতরাও অংশ নিতে পারবেন। আগে বয়সসীমা ২৮ ছিল, এখন তা নেই।’
সংবাদ সম্মেলনে আনিকা আলম বলেন, ‘নারীর ক্ষমতায়ন নিয়ে আগে থেকে কাজ করে যাচ্ছি। ভবিষ্যতে সামাজিক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে নারীদের প্রতিভা ও ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে কাজ করব। সবার সমর্থন পেলে বিশ্বমঞ্চে দেশের মুখ উজ্জ্বল করতে পারব। দেশবাসীর কাছে দোয়া চাই, যেন বিশ্বমঞ্চে আমি বাংলাদেশকে সঠিকভাবে তুলে ধরতে পারি।’
অনেকটা হুটহাট এ প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন আনিকা আলম। এ তথ্য উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘কিছুদিন আগেও জানতাম না এই আয়োজনে অংশ নেব। যেহেতু অংশ নিচ্ছি নিশ্চয়ই ভালো কিছু নিয়ে ফিরব। এখানে থেকে ফিরে নারী ক্ষমতায়ন নিয়ে কাজ করব। এর বাইরে অভিনয় করব কিনা সেসব নিয়ে ভাবিনি।’
মিস ইউনিভার্সের এবারের আসর বসতে যাচ্ছে মেক্সিকোতে। সেখানে অংশ নিতে ৩০ অক্টোবর ঢাকা ছাড়বেন আনিকা। গ্র্যান্ড ফিনালে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে নভেম্বরের ১৫ অথবা ১৮ তারিখ।