গত ৬ অক্টোবর থেকে ইসরাইলি আক্রমণের নতুন কেন্দ্রবিন্দু উত্তর গাজা। অঞ্চলটির বেত লাহিয়ায় বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনিরা যেখানে আশ্রয় নিয়েছিল, সেখানকার ৬টি ভবন গুঁড়িয়ে দিয়েছে ইসরাইল। এসব হামলায় কমপক্ষে ৪৫ জন নিহত হয়েছে। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এটিকে ‘ভয়াবহ গণহত্যা’ হিসাবে বর্ণনা করেছে। ফিলিস্তিনি বার্তা সংস্থা ওয়াফা জানিয়েছে, নিহত ও আহতদের মধ্যে অনেকেই শিশু, নারী ও বৃদ্ধ। আল জাজিরার মতে, ইসরাইলি বোমার আঘাত বিস্ফোরিত আগুনের কারণে উদ্ধারকর্মীরা যথাসময়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছাতে সক্ষম হয়নি। আল জাজিরার সাংবাদিক তারেক আবু আজজুম গাজা থেকে বলেছেন, ‘ধ্বংসস্তূপের নিচ থেকে এখনো আটকে পড়া মানুষদের উদ্ধার করার চেষ্টা চলছে। তীব্র হামলার জেরে উদ্ধারকারীরা তাৎক্ষণিকভাবে ঘটনাস্থলে পৌঁছাতে পারেনি’। তিনি আরো বলেন, ‘বেত লাহিয়া এবং জাবালিয়াকে উত্তর গাজার দুটি প্রধান নগর কেন্দ্র হিসাবে বিবেচনা করা হয় এবং গাজার অন্যান্য অংশ থেকে বাস্তুচ্যুত পরিবারগুলো সেখানে আশ্রয় নিতে এসেছে। এসব বেসামরিক মানুষ তিন সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে প্রচণ্ড আক্রমণের শিকার হয়েছে’। অধিকৃত ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে জাতিসংঘের বিশেষ প্রতিবেদক ফ্রান্সেসকা আলবানিজ বলেছেন, আমাদের চোখের সামনে এমন গণহত্যায় গাজার সমগ্র জনসংখ্যা মারা যাওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছে।’ কাউন্সিল অন আমেরিকান ইসলামিক রিলেশনস (সিএআইআর) গাজা উপত্যকায় ‘সম্পূর্ণ পদ্ধতিগত জাতিগত নির্মূল’ বন্ধ করার জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে আহ্বান জানিয়েছে। গাজায়, গত বছরের ৭ অক্টোবর থেকে ইসরাইলি হামলায় কমপক্ষে ৪২ হাজার ৮৪৭ জন নিহত এবং এক লাখ ৫৪৪ জন আহত হয়েছে। এদিকে বেইত লাহিয়ায় ইসরাইলি হামলার সমালোচনা করেছে মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশ। কিন্তু আন্তর্জাতিক আইনের কোনো পরোয়া না করে হামলা অব্যাহত রেখেছে ইসরাইল। শুধু তাই নয়, গাজায় ধ্বংস্তুপের মধ্যে যে গুটিকয়েক হাসপাতাল কোনো রকম সচল রয়েছে তার মধ্যে কামাল আদওয়ান হাসপাতালেও নিষ্ঠুর হামলা চালিয়েছে ইসরাইলি সেনারা।