কমলাপুর স্টেশন এলাকায় পঞ্চগড় এক্সপ্রেস ট্রেন দুর্ঘটনায় শিডিউল বিপর্যয় চরমে উঠছে। বৃহস্পতিবার রাত ১২টায় ট্রেনটির ৬টি বগি লাইনচ্যুত হওয়ার পর বগিগুলো উদ্ধার হয় শুক্রবার বেলা ১১টায়। দুর্ঘটনায় ঢাকার সঙ্গে সারা দেশের প্রায় ১৩ ঘণ্টা পরে ট্রেন চলাচল শুরু হলেও অধিকাংশ ট্রেন ১২ থেকে ১৮ ঘণ্টা বিলম্বে চলাচল করছে। রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ বলছে, প্রতিদিন কমলাপুর স্টেশন হয়ে ১৮২টি ট্রেন চলাচল করে। অধিকাংশ ট্রেন শুধু একটি রেক দিয়ে চালানো হয়। ফলে একটি ট্রেন বিলম্বে চললে পরবর্তী ট্রেনটিও বিলম্বে চলাচল করে। আগামী রোববারের মধ্যে শিডিউল বিপর্যয় নিয়ন্ত্রণে আসবে বলে আশা করছে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ।
কমলাপুর স্টেশন ম্যানেজার মাসুদ সারোয়ার বলেন, শুক্রবার রাত ৯টা পর্যন্ত অনেক ট্রেন বিলম্বে চলাচল করছে। কিছু ট্রেন সকালে কমলাপুরে প্রবেশ করার কথা থাকলেও রাত ৮টা পযর্ন্ত এসে পৌঁছেনি। আমরা ৩টি ট্রেনের যাত্রা বাতিলও করেছি।
শনি ও রোববারের মধ্যে অধিকাংশ ট্রেনের শিডিউল ঠিক হয়ে আসবে। ওই সময়ের মধ্যে কয়েকটি ট্রেন বিলম্বে চললেও সেগুলোকে শিডিউল বিপর্যয় বলা যাবে না। আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি শিডিউল নিয়ন্ত্রণ আনতে। ওই সময়ের মধ্যে ‘বিশেষ সবজি’ ট্রেনও যথাযথ সময়ে চালানো সম্ভব হবে।
এ প্রসঙ্গে রেলওয়ে মহাপরিচালক সরদার সাহাদাত আলী বলেন, দুর্ঘটনার পর পরই উদ্ধার কাজ শুরু হয়। দুর্ঘটনার স্থলটি স্টেশনে প্রবেশ ও বাহির মুখে ঘটেছে। এতে করে বিভিন্ন স্টেশনে ট্রেন দাঁড় করিয়ে রাখতে হয়েছে। ২/১ দিনের মধ্যে পুরোপুরি শিডিউল নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হবে। যাত্রীদের প্রতি দুঃখ প্রকাশ করে তিনি আরও বলেন, দুর্ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠিত হয়েছে। নিশ্চয় দোষীদের যথাযথ শাস্তি নিশ্চিত করা হবে।