দলের বিপদে হাল ধরেছেন, খাদের কিনারা থেকে তুলে এনে দিয়েছেন অবিশ্বাস্য জয়। মেহেদী হাসান মিরাজ যেন এখন বাংলাদেশ দলের বিপদের বন্ধু। ঘরের মাঠে দক্ষিণ আফ্রিকা বিপক্ষে দ্বিতীয় ইনিংসে যার সবশেষ প্রমাণ। দল জিতেনি তবে ইনিংস ব্যবধানে হার এড়িয়ে পাল্টা লক্ষ্য দিতে পেরেছে।
‘আমি সবসময় কঠিন অবস্থা উপভোগ করার চেষ্টা করি। বেশি কিছু চিন্তা করি না। শুধু ভাবি যে আমি যদি এখান থেকে ভালো খেলি, তাহলে হিরো হওয়ার সুযোগ থাকবে।’
দ্বিতীয় ইনিংসে মিরাজের ব্যাট থেকে আসে ৯৭ রান। ৩ রানের জন্য পাননি টেস্ট ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় সেঞ্চুরি। তৃতীয় দিন জাকের আলীর সঙ্গে জুটিতে যোগ করেন ১৩৮ রান। সে জুটিই বাংলাদেশকে ইনিংস ব্যবধানে হারের লজ্জা থেকে বাঁচায়।
চলতি বছর ঘরের মাঠে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে এমন একটি ইনিংস ছিল। সতীর্থদের উইকেটের মিছিলে মিরাজকে মাঠ ছাড়তে হয় ৮১ রানে অপরাজিত থেকে। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সেঞ্চুরি না পাওয়ায় খারাপ লাগছে সাকিব আল হাসানের বিকল্প ভাবা এই ক্রিকেটারের।
‘সেঞ্চুরি মিস হলে ব্যাটসম্যানের অবশ্যই খারাপ লাগে। অবশ্যই খারাপ লাগছে। তবে সেঞ্চুরির চেয়ে আমি যে পরিকল্পনায় খেলছিলাম, সেটা যদি কার্যকর করতে পারতাম, তাহলে আরও ভালো লাগত। আমি সেঞ্চুরির নিয়ে অতোটা চিন্তা করিনি। চিন্তা করেছিলাম দলটাকে কতদূর নিতে পারি।’
সাদা বলে মিরাজকে উপরে আনা নিয়ে অনেক আলোচনা হয়। টেস্টেও কি আরও উপরে ব্যাটিং করতে চান তিনি নিজে?
তবে এসব ভাবনায় নেই মিরাজের, ‘আমার কাছে ভালো লাগছে, সুযোগটা কাজে লাগাতে পারছি। আমি যেখানে খেলি সেখানে যদি ভালো করি তাহলে দল ভালো জায়গায় যাবে। খারাপ করলে দল রেজাল্ট করবে না। আমি চেষ্টা করছি আরও ভালো করার, আরও উন্নতি করার। কারণ, আমি দেখেছি আমি ভালো করলে দল ভালো করে। ক্যারিয়ারের শুরুতে আমার গড় ছিল কম। আলহামদুলিল্লাহ এখন উন্নতির চেষ্টা করছি।’
‘আমরা ব্যাটসম্যানরা রান করতে পারিনি। দ্বিতীয় ইনিংসের রানটা প্রথম ইনিংসে হলে ম্যাচটা ভিন্ন হতে পারত। দুই সেশনের আগেই অলআউট হয়ে গিয়েছি। এই জন্য পিছিয়ে পড়েছি। আর টেস্ট ক্রিকেটে প্রথম ইনিংস খুবই গুরুত্বপূর্ণ।’