বাহাত্তরের সংবিধানে মুক্তিযুদ্ধে জনগণের অংশগ্রহণকে খাটো ও অস্বীকার করা হয়েছে বলে দাবি করেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেছেন, ৭২-এর একদলীয় সংবিধানকে বাতিল করে একটি জনগণপন্থি সংবিধান রচনা করতে হবে। এই প্রশ্নে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন আপসহীন।
পোস্টে হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, ৭২-এর মুজিববাদী সংবিধানের মাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধে জনগণের অংশগ্রহণকে ছোট করা হয়েছে এবং অস্বীকার করা হয়েছে। মুক্তিযুদ্ধকে সুনির্দিষ্ট একটি দলের হাতে তুলে দিয়ে মুক্তিযুদ্ধকে আওয়ামী লিগীকরণ করা হয়েছে। আমরা মনে করি, গণ-অভ্যুত্থান কিংবা বিপ্লব কোনো সুনির্দিষ্ট দলের সম্পত্তি নয়। এটিকে জনগণের সম্পত্তিতে পরিণত করতে হলে গণ-অভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষাকে জনগণের সংবিধানে রূপান্তরিত করতে হবে। সেজন্য ৭২-এর একদলীয় সংবিধানকে বাতিল করে একটি জনগণপন্থি সংবিধান রচনা করতে হবে। এই প্রশ্নে আমরা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন আপসহীন থাকব।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নতুন ৫ দফার প্রথম দফা নিয়ে এ সমন্বয়ক বলেন, গতকালের পাঁচ দফার প্রথম দফা হলো ৭২-এর মুজিববাদী সংবিধান বাতিল করে নতুন করে জনগণপন্থি সংবিধান লিখতে হবে। এ দাবির বিপরীতে অবস্থান নিয়ে ৭২-এর সংবিধানের ধারাবাহিকতা রক্ষার বয়ান হলো গণ-অভ্যুত্থান পরিপন্থি বয়ান।
তিনি বলেন, ২৪-পরবর্তী বাংলাদেশে গণ-অভ্যুত্থান পরিপন্থি যে কোনও বয়ান আবার ফ্যাসিবাদ পুনর্বাসনের সুযোগ করে দেবে। সুতরাং ২৪- এর গণ-অভ্যুত্থানের স্পিরিটে বিশ্বাসী ফ্যাসিবাদবিরোধী ঐক্যবদ্ধ শক্তি ৭২-এর মুজিববাদী সংবিধানের ধারাবাহিকতা রক্ষার পক্ষে অবস্থান নিয়ে ফ্যাসিবাদকে পুনর্বাসনের সুযোগ দিতে পারে না।
২৪-এর গণ-অভ্যুত্থানকে চূড়ান্ত বিপ্লবে পরিণত করতে হলে পাঁচ দফা বাস্তবায়নের কোনও বিকল্প নেই দাবি করে হাসনাত বলেন, এই পাঁচ দফা বাস্তবায়নে গণতন্ত্রকামী ফ্যাসিবাদবিরোধী ঐক্যবদ্ধ শক্তির লড়াই অব্যাহত থাকবে।