বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে গৃহকর্মী লিজা আক্তারকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় করা মামলায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (এএসপি) মো. জুয়েল রানার চারদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। আজ শুক্রবার ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক আফনান সুমী তাকে এ রিমান্ডের আদেশ দেন।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা, পুলিশ পরিদর্শক মো. পায়েল হোসেন আসামিকে আদালতে হাজির করে সাতদিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন। এসময় আসামিপক্ষে রিমান্ড বাতিল ও জামিন চেয়ে শুনানি করেন। অন্যদিকে, রাষ্ট্রপক্ষ জামিনের বিরোধিতা করেন। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।
এর আগে গতকাল বৃহস্পতিবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অনুমতিসাপেক্ষে ডিপ্লোম্যাটিক সিকিউরিটি বিভাগে কর্মরত অবস্থায় জুয়েল রানাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
গত ৫ সেপ্টেম্বর লিজা আক্তারের বাবা মো. জয়নাল শিকদার বাদী হয়ে শেখ হাসিনাসহ ১৭৪ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা করেন। এ মামলার অভিযোগে বলা হয়- গত ১৮ জুলাই রমনা থানাধীন এলাকায় আসামিদের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ অংশগ্রহণে গুলি ও রাবার বুলেট নিক্ষেপ করা হয়। এতে অনেক মানুষ আহত হন। এ সময় গুলিবিদ্ধ লিজা আক্তার ২২ জুলাই চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।