নিজস্ব প্রতিবেদক,দূর্গাপূজা উপলক্ষ্যে মৌলভীবাজারের জুড়ী উপজেলার ৬৮টি পূজামন্ডপে সরকারি বরাদ্দকৃত ৩৪ মেট্রিকটন চাল সংশ্লিষ্ট কতিপয় কর্মকর্তার যোগসাজসে সিন্ডিকেটের মাধ্যমে কালোবাজারে কম দরে বিক্রির অভিযোগ উঠেছে পূজা উদযাপন পরিষদের বিরুদ্ধে। এছাড়া আরও অভিযোগ রয়েছে প্রতি মেট্রিকটন চাল ৩৬ টাকা কেজি দরে বিক্রি করায় প্রায় ৪ লাখ টাকা থেকে বঞ্চিত হয়েছে ৬৮টি পূজামন্ডপ।
খাদ্য মন্ত্রণালয়ের ওয়েব সাইট থেকে জানা গেছে প্রতি কেজি চালের পাইকারি বাজার মূল্য ৪৮ থেকে ৫৩ টাকা এবং প্রতি কেজি আটার পাইকারি বাজার মূল্য ৩৬ টাকা। আটার দামে চাল বিক্রি করেছে পূজা উদযাপন পরিষদ। এমটাই দাবী সচেতন মহলের।
এ বিষয়ে সরেজমিনে গিয়ে জানা যায় জুড়ী উপজেলার বিভিন্ন পূজা মন্ডপের একাধিক সভাপতি/সম্পাদক অভিযোগ করে জানান, উপজেলার ৬৮টি পূজা মন্ডপে সরকারি ভাবে ৩৪ মেট্রিকটন চাল বিশেষ বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। এতে প্রতিটি পূজা মন্ডপে ৫০০ কেজি চাল বরাদ্দ পায়।
ধামাই চা বাগান পূজা মণ্ডপের সভাপতি রাজেশ রুদ্র পাল বলেন, গত বছরের তুলনায় এবার বরাদ্দ কম পেয়েছি। ১৮ হাজার টাকা করে দিয়েছে। শুনেছি পার্শ্ববর্তী সমনভাগ চা বাগান মণ্ডপে ২১ হাজার টাকা পেয়েছে।
বাহাদুরপুর দূর্গাবাড়ি পূজা মণ্ডপের সাধারণ সম্পাদক অভিন্দ্র দেবনাথ বলেন, ইউএনও অফিসে মিটিংয়ে বলা হয়েছিল চাল দেওয়া হবে। কিন্তু চালের পরিবর্তে ১৮ হাজার টাকা দিছে। প্রতি বছরে এভাবেই তারা টাকা কম দেয়। প্রতিবাদ করেও সুরাহা মিলেনি।
দক্ষিণ সাগরনাল দূর্গাবাড়ি মন্দিরের সভাপতি মিলন পাল বলেন, পূজায় প্রসাদের জন্য চাল লাগে। টাকার পরিবর্তে চাল দিলে অনেক উপকার হতো।
অভিযোগ অস্বীকার করে উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বিমল মোদক বলেন, উপজেলার ৬ ইউনিয়নের ৬টি ডিও পূজা উদযাপন পরিষদ ইউনিয়ন নেতৃবৃন্দের মাধ্যমে মন্ডপগুলোতে চাল বিতরণ করা হয়ে থাকে। এবার চালের পরিবর্তে অনেকে টাকা নিতে আগ্রহী থাকায় বরাদ্দকৃত চাল ৩৬ টাকা দরে বিক্রি করে মন্ডপ প্রতি ১৮ হাজার টাকা দেওয়া হয়। বিমল মোদক বলেন, চাল বিক্রির সময় উপস্থিত থাকলেও টাকা লেনদেনে তিনি ছিলেন না।