ট্রেনের ধাক্কায় আহত বন্য হাতিটির মৃত্যু

চুনতিতে ট্রেনের ধাক্কায় গুরুতর আহত বন্য হাতিটি অবশেষে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছে। হাতিটির পেছনের ডান পা ভেঙে যায়, মাথায় এবং মেরুদণ্ডে গুরুতর জখম হয়েছিল।

মঙ্গলবার বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে কক্সবাজারের ডুলাহাজারা সাফারিপার্কে হাতিটির মৃত্যু হয়।

এর আগে সোমবার রাতের দিকে হাতিটি ঢাকা-কক্সবাজার স্পেশাল ট্রেনের সাথে ধাক্কা লেগে আহত হয়। আহত হাতিটিকে মঙ্গলবার সকালে ডুলাহাজারা সাফারি পার্কে উন্নত চিকিৎসার জন্য নিয়ে আসা হয়।

কক্সবাজার ডুলাহাজারা সাফারি পার্কের রেঞ্চ কর্মকর্তা মো: মাজহারুল ইসলাম সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, ‘শত চেষ্টার পরও আহত বন্যহাতিটি বাঁচানো গেল না।

মঙ্গলবার ভোরে স্থানীয় বনবিভাগ, চুনতি বন বিট, ডুলাহাজরা সাফারি পার্কের চিকিৎসক দল আহত হাতিটিকে ঘটনাস্থল থেকে ক্রেনের সাহায্যে উদ্ধার করে। এরপর রেলওয়ের রিলিফ ট্রেনে করে হাতিটিকে সাফারি পার্কে নিয়ে আসা হয়। এরপর থেকে চলে বিরামহীন চিকিৎসা। কিন্তু, শত চেষ্টার পরও বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে হাতিটির মৃত্যু হয়।

মাজহারুল ইসলাম আরও জানান, হাতিটির বয়স ৮ থেকে ১০ বছর। মাথায় ও পায়ে আঘাতের কারণে প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়েছে। চিকিৎসকরা ব্যথানাশক ওষুধসহ নানাভাবে চিকিৎসা দিয়েছেন। তারপরও শেষ রক্ষা হয়নি।

লোহাগড়া চুনতি বনবিভাগের দেয়া তথ্য মতে, গত দুইদিন ধরে ছয়টি হাতির একটি দল রোববার সন্ধ্যা থেকে অভয়ারণ্যে বিচরণ করছিল। হাতি যাতে রেললাইনে ঢুকতে না পারে সেজন্য এলিফ্যান্ট ওভারপাসের উভয় পাশে সীমানা প্রাচীর নির্মাণ করা হয়েছে। কিন্তু, ওভারপাসের উত্তর পাশে চলাচলের ছোট একটি পথ রয়েছে। সে পথ দিয়ে অপ্রাপ্তবয়স্ক একটি স্ত্রী হাতি দল থেকে আলাদা হয়ে যায়।

রাত সাড়ে ৯টার দিকে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রেললাইনে কক্সবাজার থেকে ছেড়ে আসা ঈদ স্পেশাল-১০ ট্রেন হাতিটিকে পেছনের দিক থেকে ধাক্কা দেয়। এতে ওই হাতিটি গুরুতর আহত হয়। হাতিটির পেছনের ডান পা ভেঙে গেছে, মাথায় এবং মেরুদন্ডে গুরুতর জখম হয়েছিল।