ঢাকা-আরিচা ও নবীনগর-চন্দ্রা মহাসড়কের সাভার অংশের বেশ কয়েক জায়গায় রাত হলে দেখা দেয় যানজট। যানবাহনের অতিরিক্ত চাপ আর সড়ক উন্নয়নের কর্মযজ্ঞকে যানজটের কারণ হিসেবে উল্লেখ করেন পুলিশ। তবে পরিবহন শ্রমিকদের অভিযোগ, রাতে অধিকাংশ জায়গায় দায়িত্ব পালন করতে দেখা যায় না পুলিশকে।
বুধবার (১৬ অক্টোবর) রাতে ঢাকা-আরিচা ও নবীনগর-চন্দ্রা মহাসড়ক ঘুরে যানজটের চিত্রের দেখা মেলে।আমিনবাজার এলাকায় দেখা যায়, যানবাহনের দীর্ঘ সারি। চালকরা ইঞ্জিন বন্ধ করে বসে আছে। কিছু সময় পরপর একটু করে এগালেও দীর্ঘ সময় বসে থাকতে হচ্ছে। রাজধানী থেকে বের হওয়ার রাস্তায় কিছুটা স্বস্তি থাকলেও প্রবেশের সময় বেঁধে থাকে জটলা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে নেই পুলিশের তেমন তৎপরতা।যানজটে পানি বিক্রেতা হকার আসলাম বলেন, প্রতিদিন সন্ধ্যার পর থেকে বাড়তে থাকে যানজট। রাত গভীর হলে গাড়ির সারিও লম্বা হয়। ঘণ্টার পর ঘণ্টা যানজটে থেকে ভোগান্তি পোহাতে হয় যাত্রীদের।নবীনগর-চন্দ্রা মহাসড়কের অবস্থাও প্রায় একই। বাইপাইল থেকে শ্রীপুর পর্যন্ত থাকে যানবাহনের জটলা। উত্তরবঙ্গগামী ও রাজধানীগামী দুটি লেনেই একই চিত্র। যানজট ঠেলেই পৌঁছাতে হচ্ছে গন্তব্যে।পরিবহন শ্রমিক খোরশেদ আলম বলেন, মাত্র তিন কিলোমিটার সড়ক পাড়ি দিতে সময় লাগছে ২ থেকে আড়াই ঘণ্টা। সারাদিন কয়েকটি পয়েন্টে কিছু পুলিশ কাজ করলেও রাতে আর কাউকে দেখা যায় না। তখনই বিশৃঙ্খলা দেখা যায় সড়কগুলোতে।সাভার থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) জুয়েল মিয়া বলেন, এমন যানজটের কারণ যানবাহনে অতিরিক্ত চাপ আর সড়ক উন্নয়নের কর্মযজ্ঞ। ট্রাফিক ও হাইওয়ে পুলিশের সঙ্গে থানা পুলিশ কাজ করে যাচ্ছে।