জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, আওয়ামী লীগই বাংলাদেশের চরমপন্থি ও সন্ত্রাসী দল। এদের চেয়ে বড় সন্ত্রাসী আর কেউ ছিল না।
আজ রবিবার সকালে রাজধানীর চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে জামায়াতের রুকন সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
ডা. শফিকুর রহমান বলেন, ছাত্রলীগ নামে হাতুড়ি-হেলমেট বাহিনী তৈরি করেছিল আওয়ামী লীগ। ওবায়দুল কাদেররা অহংকার ও অন্যায় নিয়ে গর্ব করতেন। তারা মানবাধিকার লঙ্ঘন করেছেন।মানুষকে মানুষ মনে করতেন না। আজ উনারা কোথায় গেলেন। প্রতিটি অপকর্মের ফল তাদের পেতে হবে।
জামায়াতের আমির বলেন, জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার ওপর চালানো গণহত্যার দ্রুত বিচার করতে হবে। শুধু সেই বিচার নয়, এ যাবতকালের সব হত্যার বিচার করতে হবে।
তিনি বলেন, জামায়াতে ইসলামী কোনো প্রতিশোধ নেবে না। তবে জুলুমের শিকার প্রতিটি মানুষকে ন্যায়বিচার দেবে। বিপ্লবের পর জামায়াত কর্মীরা চাঁদাবাজি কিংবা দখল করেনি। বরং মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে। বৈষম্য ও দুর্নীতিমুক্ত দেশ গড়তে সুশীল সমাজ, সাংবাদিকসহ সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে।
ঢাকা মহানগর উত্তরের আমির মোহাম্মদ সেলিম উদ্দিনের সভাপতিত্বে দলটির কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরা, কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী পরিষদের সদস্য ও মহানগরীর ১০ হাজারেরও বেশি রোকন এই সম্মেলনে অংশ নেন।
সকাল সাড়ে ৯টায় ঢাকা মহানগর উত্তরের সেক্রেটারি ড.মুহাম্মদ রেজাউল করিমের পরিচালনায় সম্মেলনের উদ্বোধন ঘোষণা করেন বৈষ্যমবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শহীদ নাসিব হাসান রিয়ানের পিতা মো.গোলাম রাজ্জাক। এই সম্মেলনে বিশেষ অতিথি ছিলেন জামায়াতের নায়েবে আমির অধ্যাপক মুজিবুর রহমান, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান, মাওলানা আব্দুল হালিম, কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য আব্দুর রব, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আমির নুরুল ইসলাম বুলবুল, ঢাকা মহানগর উত্তরের নায়েবে আমির আব্দুর রহমান মূসা, ইঞ্জিনিয়ার গোলাম মোস্তফা, সহকারী সেক্রেটারি মাহফুজুর রহমান, নাজিম উদ্দীন মোল্লা, ডা. ফখরুদ্দিন মানিক, মহানগরী উত্তর শিবির সভাপতি আনিসুর রহমান, পশ্চিমের সভাপতি সালাহ মাহমুদ প্রমুখ।