ঘোড়াশাল বাইপাস সড়ক যেন মরণফাঁদ, মৃত্যু ঝুঁকি নিয়ে চলাচল

বাইজিদআহাম্মেদ : দীর্ঘদিন ধরে সংস্কার কাজ না হওয়ায় নরসিংদীর পলাশ উপজেলার ঘোড়াশাল বাইপাস ও ঘোড়া চত্বর সড়ক যেন মরণফাঁদে পরিনত হয়েছে। মৃত্যুর ঝুঁকি নিয়েই প্রতিদিন শত শত ছোট বড় যানবাহন চলাচল করছে এই সড়কে। উপজেলায় কয়েকদিন ধরে বৃষ্টির কারণে সড়ক আরও বেশি ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে।

এ সড়কে ঘোড়াশাল-পলাশ সারকারখানা, ঘোড়াশাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র, প্রাণ আরএফএল, স্যামরি ডায়িং, জনতা জুটমিল, জুট এলায়েন্স ও ওমেরাসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ছোট বড় যানবাহন চলাচল করে। কিন্তু সড়কে বড় বড় গর্ত থাকায় প্রায় সময়ে ছোটখাটো দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে যানবাহন।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বাইপাস সড়কের পাশেই রয়েছে ফুলের বাগান, ঘোড়াশাল চত্বরে রয়েছে ঘোড়ার ভাস্কর্য, পাশের রেললাইনের নিচে ফুলের বাগান। কিন্তু সড়কে বড় বড় গর্ত সৃষ্টি হয়ে ফসলের মাঠে পরিনত হয়েছে। ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে যানবাহন। বড় এক কাভার্ডভ্যান সড়কের গর্তে উল্টে পড়ে আছে।

সিএনজি চালক পাভেল মিয়া জানান, দীর্ঘদিন ধরে এই সড়কে বড় বড় গর্ত হয়ে আছে। আমার সিএনজিও এপর্যন্ত তিনদিন পড়ে গেছে সড়কটিতে। তিনটি ট্রাকও গর্তে পড়ে নষ্ট হতে দেখেছি। যাত্রীরাও এখন আর এই সড়কে আসতে চায় না, তাই আগের চেয়ে উপার্জনও কমে গেছে।

রিকশা চালক মজিবুর জানান।এটি সড়ক না খাল, বুঝায় যায় না। অনেক ভয় নিয়েই সড়ক পার হতাম আগে। এখন বড় গর্ত ও পানি থাকায় এই সড়ক দিয়ে রিকশা নিয়ে যাওয়া যায় না।

স্থানীয় ব্যবসায়ী আবদুল্লাহ জানান, ‘আমার দোকানের সামনে সড়ক যেন ফসলের মাঠ হয়ে আছে। ক্রেতারা এই সড়ক দিয়ে দোকানে আসছে না। পণ্য বিক্রি কমে গেছে। ব্যবসা টিকিয়ে রাখাও কঠিন হয়ে গেছে। তাই দ্রুত সড়ক সংস্কার করার দাবি জানান তিনি’।

পলাশের ভারপ্রাপ্ত উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও পৌর প্রশাসকের দায়িত্বে থাকা এএইচএম ফখরুল হোসাইন জানান, এই সড়কটি ঘোড়াশাল পৌর সভার নয়। এটি সড়ক ও জনপদের বিভাগের। তারপরও আমরা এই সড়কের বিষয়ে সমন্বয় সভায় তাদের অবহিত করবো।

এ বিষয়ে নরসিংদী সড়ক ও জনপদ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলীর মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও ফোন রিসিভ না করায় বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।