এ বছর শান্তিতে নোবেল পেয়েছে জাপানে পারমাণবিক বোমা হামলার ধ্বংসযজ্ঞ থেকে বেঁচে যাওয়া ব্যক্তিদের সংগঠন নিহন হিদানকায়ো।
টোকিওতে এক সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেওয়ার সময় তিনি বলেন, ‘গাজায় রক্তাক্ত শিশুদেরকে তাদের পিতামাতা ঘরে আটকে রাখতে বাধ্য হচ্ছে। এই পরিস্থিতি ৮০ বছর আগের জাপানের মতোই। হিরোশিমা ও নাগাসাকির শিশুরা তাদের পিতাকে যুদ্ধে এবং মাকে বোমা হামলায় হারিয়েছিল।’
তিনি বলেন, ‘জনগণ শান্তি কামনা করছে। কিন্তু রাজনীতিবিদরা যুদ্ধ করার জন্য জোর দিয়ে বলছেন, আমরা জয়ী না হওয়া পর্যন্ত থামব না। আমি মনে করি, এটি রাশিয়া এবং ইসরায়েলের ক্ষেত্রে সত্য। আমি সবসময় হতবাক হয়ে ভাবি, জাতিসংঘের শক্তি এটিকে থামাতে পারেনি।’
এর তিন দিন পর, আরেকটি বোমা নাগাসাকিতে আঘাত হানে। এতে আরও ৭০ হাজার মানুষ নিহত হোন। জাপান দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের অবসান ঘটিয়ে ১৯৪৫ সালের ১৫ আগস্ট আত্মসমর্পণ করে।
২০২৪ সালের নোবেল শান্তি পুরস্কার জাপানের নিহন হিদানকায়ো সংগঠনকে দেওয়া হয়েছে। পারমাণবিক অস্ত্রের বিরুদ্ধে বিশ্বব্যাপী জনমত গড়ে তোলার স্বীকৃতি হিসেবে জাপানি সংগঠনটিকে গতকাল শুক্রবার (১১ অক্টোবর) নোবেল পুরষ্কারে ভূষিত করা হয়।