সিরিজ চলে গেছে স্বাগতিক ভারতের পকেটে। বাংলাদেশ শিবিরও যেন হাল ছেড়ে দিয়েছে। নিয়মরক্ষার শেষ ম্যাচের আগে সবকিছু মনে হলো খাপছাড়া। অবশ্য জয়ের আশা যেখানে খোদ গুরু তথা কোচরাই করেন না সেখানে শিষ্যরা কেন করবেন! তবে হার-জিত যাই হোক এটি মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের শেষ ম্যাচ হিসেবেই দৃশ্যপট অঙ্কিত করবে।
তবে সবচেয়ে বড় উপহারটা দিতে পারেন মাহমুদউল্লাহর সতীর্থরাই। কিন্তু প্রথম দুই ম্যাচে গো-হারা হেরে যাওয়ার পর তৃতীয় ম্যাচে এসে ঘুরে দাঁড়াতে পারবে কী না এটা এখন বড় প্রশ্ন। ফিল্ডিং কোচ পোথাসের কাছেও প্রশ্ন ছিল শেষ ম্যাচের প্রত্যাশা নিয়ে। তার উত্তরে অবশ্য তেমন কিছুর আশা যে করছেন সেটির আভাস পাওয়া যায়নি।
‘টি-টোয়েন্টি সংস্করণ আসলে দলগুলোকে কাছাকাছি এনে দেয়। ফল দেখলে, আসলে আমি জানি লোকে অনেক কিছু প্রত্যাশা করে। আমাদের নিজস্ব মানদন্ড আছে ড্রেসিংরুমে। আমরা সেসব করে যাব সময়ের মধ্যে, লম্বা সময়ের মধ্যে সেগুলো অর্জন করতে চাইব, তখনই পারফরম্যান্স উন্নত হবে। আমরা জানি কী করতে চাইছি। সবই অর্জন করতে পারিনি হয়তো। আগের ম্যাচে তাসকিন দারুণ করেছে।’
পোথাসরা এখনো ভারতের মতো দলের বিপক্ষে শেখার মন্ত্রেই আছেন। এ কথায় তা-ই বুঝিয়েছেন। শেখার মন্ত্রে থাকুক কিংবা জয়ের নেশা চড়ুক; মাহমুদউল্লাহর জন্য ম্যাচটি বিশেষ কিছুই বটে। এরপর আর এই সংস্করণে দেখা যাবে না বাংলাদেশের হয়ে সবচেয়ে বেশি টি-টোয়েন্টি খেলা এই ক্রিকেটারকে। ধারাভাষ্য দিতে ভারতে থাকা তামিম ইকবালও বলছেন, ‘অবসর একজন ক্রিকেটারের জন্য সহজ বিষয় না, কঠিন কিছু।’
ব্যাট হাতে টানা দুই ম্যাচে ব্যর্থ বাংলাদেশ একাদশে আসতে পারে পরিবর্তন। শেখ মেহেদী হাসান আসতে পারেন একাদশে। দ্বিতীয় ম্যাচে খেলা পেস আক্রমণেও ঘটতে পারে পরিবর্তন। ব্যাট হাতে কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারেননি কোনো ব্যাটারই, যেটি সবচেয়ে বেশি ভুগিয়েছে। বিশ্রাম কিংবা বাদ দেওয়ার তালিকা অনেক লম্বা তবে চারজনের বেশি পরিবর্তনের কোনো সুযোগ নেই। এদিকে ভারত তাদের বেঞ্চের শক্তি পরীক্ষা করতে পারে। একাদশে দেখা যেতে পারে রবি বিষ্ণুইসহ তিলক ভার্মাদের। ঘরের মাঠে দলটি টানা ১৬টি সিরিজ জিতেছে। এর আগে সর্বোচ্চ রেকর্ড ছিল ১৪টি।
হায়দরাবাদের পিচ বলছে হবে রান উৎসব। গত আইপিএলে দুইশর ছড়াছড়ি ছিল এখানে। সর্বোচ্চ ২৭৭ রান পর্যন্ত হয়েছে এই মাঠে। এই মাঠে আইপিএলে তিন ফিফটিতে প্রায় আড়াইশ স্ট্রাইকরেটে ২৮৪ রান করেছেন অভিষেক শর্মা। তবে বাঁধ সাধতে পারে বৃষ্টি। ম্যাচের আগের দিন দুপুর থেকে থেমে থেমে বেশ কয়েকবার বৃষ্টিপাত হয়েছে। ম্যাচের সময়ও এমন সম্ভাবনা রয়েছে। ম্যাচটি মাহমুদউল্লাহ রাঙাবেন নাকি ভারতের জয়রথ ছুটবে তা বোঝা যাবে রাতেই। ও হ্যাঁ বৃষ্টির কথাও ভুলে গেলে চলবে না!