বান্দরবান, রাঙামাটি, খাগড়াছড়ির তিন পার্বত্য জেলায় নিরাপত্তাজনিত কারণে ৮ অক্টোবর হতে ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত ভ্রমণে বিরত থাকার জন্য অনুরোধ জানিয়েছে জেলা প্রশাসন। এ সময়ে পর্যটকদের ভ্রমণ থেকে বিরত থাকতে বলা হলেও বান্দরবানে পর্যটক কেন্দ্রগুলোতে পর্যটক ভ্রমণে এসেছেন।
হাবিবুর রহমান শহীদ সিলেট মৌলভীবাজার থেকে পরিবার নিয়ে বান্দরবানে ঘুরতে এসেছেন। তিনি বলেন, ‘পর্যটন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বা সরকারি প্রশাসনের বিধিনিষেধ মানা উচিৎ। আমরা পর্যটকেরা এসে গেছি, আত্মীয়-স্বজনদের কাছে আছি। মনের আবেগে হয়ত চলে এসেছি কিন্তু আমাদেরও সচেতন থাকা দরকার।’
১৩ জন বন্ধু নিয়ে ফেনী থেকে বান্দরবান ভ্রমণে এসেছেন মাইন উদ্দিন। তিনি বলেন, বান্দরবান ভ্রমণের নিষেধাজ্ঞা বিষয়টি জানেন না। চেকপোস্টে ন্যাশনাল আইডি কার্ড দেখিয়ে এসেছেন। তখনও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও পুলিশ সদস্যরাও নিষেধাজ্ঞার বিষয়টি অবগত করেননি।
রাজশাহী থেকে ৩০ জনের একটা টিম নিয়ে বান্দরবান ভ্রমণে এসেছেন। তাদের মধ্যে কচিম উদ্দিন বলেন, রাজশাহী থেকে বুধবার (৯ অক্টোবর) বান্দরবানে এসেছেন। নীলাচল, মেঘলা ও গোল্ডেন টেম্পল ঘুরে চলে যাবেন।
নীলাচল ও মেঘলা পর্যটন কেন্দ্রে টিকিট কাউন্টারে দায়িত্বে থাকা সুমি ত্রিপুরা ও সুকুমার তংচংগ্যা বলেন, সারা দিনে একশত টিকিট বিক্রি করেছি। পর্যটন কেন্দ্রগুলোতে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে তাদের সুনির্দিষ্ট কোনো নির্দেশনা দেওয়া হয়নি।
বান্দরবান টুরিস্ট পুলিশের পুলিশ সুপার আপেল মাহমুদ বলেন, ‘তিন পার্বত্য জেলায় পর্যটক ভ্রমণে বিরত থাকবে বলা হয়েছে। তারপরও যদি পর্যটক ভ্রমণে এসেছে থাকে, মেঘলা পর্যটন কেন্দ্রে আমাদের পুলিশ টিম পাঠাচ্ছি, যাতে পর্যটন কেন্দ্রে থাকা পর্যটকদের সসম্মানে ফিরিয়ে দিতে। একইসঙ্গে বান্দরবান টুরিস্ট পুলিশ সতর্ক অবস্থানে থাকবে যাতে বান্দরবানে পর্যটক ভ্রমণে আসতে না পারে।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে জেলা প্রশাসক শাহ্ মোজাহিদ উদ্দিন এক ক্ষুদে বার্তায় বলেন, ‘জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সকল পর্যটকদের বান্দরবান ভ্রমণে বিরত থাকার অনুরোধ জানিয়েছে। সকল বাহিনী এ বিষয়ে অবহিত রয়েছে। বান্দরবানে পর্যটক ভ্রমণে এসেছে এ বিষয়ে অবগত হলাম। এ বিষয়ে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’