বর্ষা মৌসুম ও রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে দীর্ঘ তিন মাস খুব কম সংখ্যক পর্যটকের আগমন ঘটে কুয়াকাটায়। তবে এবার দুর্গাপূজার ৪ দিনের ছুটি উপলক্ষে ইতোমধ্যেই কুয়াকাটা সৈকতে আসতে শুরু করেছেন পর্যটক।
এদিকে আগত পর্যটকদের নিরাপত্তায় তৎপর রয়েছে ট্যুরিস্ট পুলিশ।
সৈকত সংশ্লিষ্টরা জানান, গতকাল বুধবার বিকাল থেকেই পর্যটকের সংখ্যা বাড়তে শুরু করেছে। আগতরা সৈকতে বালিয়াড়িতে আনন্দ উন্মাদনায় মেতেছেন। অনেকে আবার প্রিয়জনকে নিয়ে ছবি তুলছেন। অনেকে আবার সৈকতের বেঞ্চিতে বসে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করছেন। মোটকথা সমুদ্রের মোহনীয় গর্জন ও সৈকতের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য বিমোহিত করেছে পর্যটকদের। পর্যটকের সংখ্যা বাড়ার সাথে সাথে বেচাকেনাও বাড়তে শুরু করেছে পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোতে। ইতোমধ্যে বুকিং হয়েছে ৮০ ভাগ হোটেল মোটেলের কক্ষ।
বাকেরগঞ্জ থেকে আসা পর্যটক গৌতম মন্ডল বলেন, আমরা পরিবারের সবাই গতকাল বিকালে এখানে এসেছি। এখানের পরিবেশটা বেশ দারুণ লাগছে। সৈকতের পাড়েই মন্দির থাকায় সন্ধ্যায় দুর্গা মাকেও দর্শন করেছি। টাঙ্গাইল থেকে আসা পর্যটক দম্পতি নীলয়-উদিতা রানী জানান, আমরা দু’জনেই সরকারি চাকরি করি। তাই ৪ দিনের ছুটিকে কেন্দ্র করেই মূলত কুয়াকাটায় আসা। এখানের পরিবেশটা বেশ ভালোই লাগছে। বাচ্চারা বেশ দারুণ উপভোগ করছে।
কুয়াকাটা হোটেল মোটেল ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মোতালেব শরীফ জানান, বুধবার বিকালেই অনেক পর্যটক এসেছে। আমাদের ৭০ থেকে ৭৫ ভাগ রুম বুকিং হয়ে গেছে। আশা করছি আজকের মধ্যে শতভাগ রুম বুকিং হয়ে যাবে। তেমন সাড়াও পাচ্ছেন হোটেল মালিকরা।
কুয়াকাট ট্যুরিস্ট পুলিশ জোনের ইনচার্জ মাহফুজ আলম জানান, যে কোন অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে ট্যুরিস্ট পুলিশ, নৌ-পুলিশ ও থানা পুলিশের সদস্য মোতায়েন রয়েছে। এছাড়া সাদা পোশাকে আইনশৃংখলা বাহিনীর সদস্যরাও কাজ করছে। আশা করছি পর্যটকরা নিরাপদে তাদের ভ্রমণ উপভোগ করতে পারবেন।