নিজের ইচ্ছা পূরণ করতে কৃষক রতন প্রামাণিক মেয়ের বিয়ে দিলেন হেলিকপ্টারে। তিনি জামাতাকে তার বাড়িতে আনতে হেলিকপ্টার পাঠান। সেই হেলিকপ্টারে চড়ে বিয়ে করতে আসেন জুয়েল হোসেন শামীম। আর সেই দৃশ্য দেখতে উৎসুক মানুষের ভিড় জমে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সুজানগর উপজেলার চর সুজানগর গ্রামের কৃষক রতন প্রামাণিক তার বড় মেয়ে রেনু আক্তারের বিয়ে ঠিক করেন পার্শ্ববর্তী সাঁথিয়া উপজেলার আতাইকুলা থানার বনগ্রাম এলাকার মেছের মৃধার ছেলে ব্যবসায়ী জুয়েল হোসেন শামীমের সঙ্গে।
কনের চাচা ইসমাইল হোসেন প্রামাণিক বলেন, ‘আমার ভাইয়ের ইচ্ছা তার আদরের বড় মেয়ের বরকে হেলিকপ্টারে করে নিজ বাড়িতে আসবেন। এরপর মেয়েকে হেলিকপ্টারে করে শ্বশুরবাড়িতে পাঠাবেন। এ জন্য হেলিকপ্টার ভাড়া করে জামাতা জুয়েল হোসেন শামীমের বাড়িতে পাঠান।’
কনের ফুফাত ভাই শাকিল হোসেন বলেন, ‘হেলিকপ্টারে চড়ে সোমবার দুপুরে শ্বশুরবাড়ি আসেন বর জুয়েল হোসেন শামীম। সেখানে বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা শেষে বিকেলে নববধূকে আবারও হেলিকপ্টারে নিয়ে নিজ বাড়ি ফিরে যান। বিয়ের আড়ম্বরপূর্ণ এ আয়োজন দেখতে ও নিমন্ত্রণে আসা অতিথিসহ গ্রামের শত শত মানুষ ভিড় জমান বিয়ে বাড়িতে।’
কনের বাবা রতন প্রামাণিক বলেন, ‘আমার মেয়ে জন্ম নেওয়ার সময় ইচ্ছা পোষণ করেছিলাম হেলিকপ্টারে বর এনে বিয়ে দেব। আবার মেয়েকে সেই হেলিকপ্টারে শ্বশুরবাড়ি পাঠাবো। সেই স্বপ্ন আমার পূরণ হলো। এখন আমি খুব খুশি।’
বর জুয়েল হোসেন শামীম বলেন, ‘আমার শ্বশুর তার ইচ্ছা পূরণ করার জন্য হেলিকপ্টার ভাড়া করে আমাদের বাড়িতে পাঠান। সেই হেলিকপ্টারে চড়ে শ্বশুরবাড়ি যাই। তারপর বিয়ে করে নতুন বউ নিয়ে আমার বাড়িতে ফিরেছি। আমি কল্পনা করিনি যে হেলিকপ্টারে বিয়ে করব। সব মিলিয়ে খুব ভালো লেগেছে।’
সুজানগর পৌরসভার সাবেক কাউন্সিলর আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘অনেক বিয়ে দেখেছি। তবে এমন বিয়ের অনুষ্ঠান আগে দেখিনি। হেলিকপ্টারে চড়ে বর গেল শ্বশুরবাড়ি, আবার বিয়ে করে নববধূকে নিয়ে বাড়ি ফিরে যাওয়া দেখে এলাকার মানুষ খুব উচ্ছ্বসিত ও আনন্দিত। বিয়েতে নতুন মাত্রা পেয়েছিল।’