আগামীকাল বুধবার থেকে শুরু হচ্ছে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা। তাই পূজারি ও ভক্তদের ব্যস্ততার শেষ নেই। তারা মণ্ডপ সাজানোর পাশাপাশি কেনাকাটায় ব্যস্ত। যে কারণে রাজধানীর শপিং সেন্টার, ফ্যাশন হাউস ও অন্য খুচরা বিক্রয়কেন্দ্রগুলোতে ভিড় লক্ষ্য করা গেছে।
বুধবার মহাষষ্ঠী পূজার মধ্য দিয়ে শুরু হবে দুর্গোত্সব। বুধবার সকাল ৮টা ৪৪ মিনিটের মধ্যে মহাষষ্ঠী কল্পনারম্ভ শেষ হবে।
রাজধানীর বসুন্ধরা শপিং মলে সরেজমিনে দেখা গেছে, দুর্গাপূজা উপলক্ষে জমজমাট কেনাবেচা চলছে। সেখানে আড়ং, দেশী দশ, ইনফিনিটি, অঞ্জন’সসহ বিভিন্ন পোশাকের শোরুমগুলোতে প্রচণ্ড ভিড়। জুতার দোকানগুলোতেও একই চিত্র। বাটা, বে এম্পোরিয়াম, এপেক্সসহ অন্যান্য ব্র্যান্ডের জুতার শোরুমে চলছে ধুম কেনাকাটা। পূজায় শাড়ি ও সালোয়ার-কামিজের বেশি চাহিদা থাকে। শাড়ির মধ্যে কাতান, সিল্ক ও নকশাদার শাড়ির প্রতি নারীদের আগ্রহ বেশি। জামদানির চাহিদাও যথেষ্ট বলে জানান ব্যবসায়ীরা।
দুর্গাপূজার প্রস্তুতি ঘিরে প্রতিবছরের মতো পুরান ঢাকার ঐতিহ্যবাহী শাঁখারীবাজারের দোকানগুলো এখন ক্রেতাদের পদচারণে মুখর। শাঁখা, শঙ্খ, প্রতিমার কাপড়, ঘণ্টা, ঘট, প্রদীপ, আগরবাতি, ঠাকুরের মালা, কদম মালা, জবের মালা, মুকুট থেকে শুরু করে শাড়ি, ধুতি, পাঞ্জাবিসহ অলংকারের দোকানগুলোতে ব্যাপক কেনাকাটা চলছে।
পূজা কমিটির সঙ্গে সিপিবি নেতৃবৃন্দের বৈঠক : শারদীয় দুর্গোৎসবকে স্বতঃস্ফূর্ত ও আনন্দমুখর করতে মহানগর সর্বজনীন পূজা কমিটির সঙ্গে বৈঠক করেছেন বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি) ঢাকা মহানগর দক্ষিণ কমিটির নেতৃবৃন্দ। সোমবার দুপুরে ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দির প্রাঙ্গণে মহানগর সর্বজনীন পূজা কমিটির কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সভায় সভাপতিত্ব করেন মহানগর সর্বজনীন পূজা কমিটির সভাপতি জয়ন্ত কুমার দেব। উপস্থিত ছিলেন সিপিবি ঢাকা মহানগর দক্ষিণ কমিটির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি জামসেদ আনোয়ার তপন ও সাধারণ সম্পাদক জলি তালুকদার, বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক সন্তোষ শর্মা ও সহসভাপতি তাপস কুমার পাল, মহানগর সর্বজনীন পূজা কমিটির উপদেষ্টা সুব্রত চৌধুরী প্রমুখ।
আজ সংবাদ সম্মেলন : শারদীয় দুর্গাপূজার সার্বিক প্রস্তুতি তুলে ধরতে আজ মঙ্গলবার দুপুর ১২টায় ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দির প্রাঙ্গণে সংবাদ সম্মেলন করবে বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ ও মহানগর সর্বজনীন পূজা কমিটি। সংবাদ সম্মেলনে পূজাসংক্রান্ত সব তথ্য ও নিরাপত্তা প্রস্তুতি তুলে ধরা হবে। একই সঙ্গে পূজাকে নির্বিঘ্ন ও উত্সবমুখর করতে সারা দেশের মন্দিরগুলোর আয়োজক কমিটিসহ সংশ্লিষ্ট করণীয় সম্পর্কে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেওয়া হবে।