বিশ্ব বসতি দিবস আজ। ১৯৮৬ সাল থেকে প্রতিবছর অক্টোবর মাসের প্রথম সোমবার পালন করা হয় বিশ্ব বসতি দিবস। এবছর দিবসটির প্রতিপাদ্য হলো-‘তারুণদের সম্পৃক্ত করি, উন্নত নগর গড়ি’।
১৯৮৫ সালে ইউনেস্কো অক্টোবর মাসের প্রথম সোমবারকে বিশ্ব বসতি দিবস হিসেবে ঘোষণা করে, তার পরের বছর থেকেই বিশ্বব্যাপী দিবসটি পালিত হয়ে আসছে। বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো আজ বাংলাদেশেও দিবসটি যথাযোগ্য মর্যাদায় পালিত হচ্ছে। বিশ্ব বসতি দিবস উপলক্ষ্যে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস পৃথক বাণী দিয়েছেন।
বাণীতে রাষ্ট্রপতি রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বলেন, পরিকল্পিত নগরায়ণ অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জনের অন্যতম নিয়ামক। আগামী প্রজন্মের জন্য নিরাপদ, বাসযোগ্য, আধুনিক ও টেকসই নগর গঠনে সরকারি-বেসরকারি অংশীজন, নাগরিক সমাজ ও তরুণ প্রজন্মসহ সকলের সম্মিলিত উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে।
প্রদত্ত বাণীতে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানের ১৫ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী অন্ন, বস্ত্র, আশ্রয়, শিক্ষা ও চিকিৎসা মানুষের মৌলিক অধিকার। বর্তমান সরকার মানুষের বাসস্থানসহ এ মৌলিক অধিকার নিশ্চিতকরণে বদ্ধপরিকর।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, তারুণ্য শক্তি, সাহস ও পরিবর্তনের প্রতীক। বৈষম্যহীন, শোষণহীন ও কল্যাণকর গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে ছাত্র-জনতার বিগত দিনের আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় গণ অভ্যুত্থানের মাধ্যমে বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের দায়িত্ব গ্রহণই প্রমাণ করে তারুণ্যকে কেউ দাবিয়ে রাখতে পারে না। এখনকার তরুণেরা অনেক বেশি আধুনিক এবং প্রযুক্তি ব্যবহারে অগ্রগামী।
তিনি তরুণদের অদম্য মেধা, পরিশ্রম, ঐকান্তিক নিষ্ঠা ও সততা বৈষম্যহীন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন বাস্তবায়নে নতুন আলোয় উদ্ভাসিত করবে বলে দৃঢ় আস্থা প্রকাশ করেন।
এ উপলক্ষ্যে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় আজ (সোমবার) সকাল ৯টায় রাজউক মিলনায়তনে আলোচনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে। গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় এবং শিল্প মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত থাকবেন। এছাড়াও বিশেষ বক্তা হিসেবে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় এবং পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান এবং ইউএন রেসিডেন্ট কো-অর্ডিনেটর ইন বাংলাদেশ মিজ গোয়েন লুইস উপস্থিত থাকবেন। সভাপতিত্ব করবেন গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. হামিদুর রহমান খান।