ওজন আর ভুঁড়ি কমাতে ম্যাজিকের মতো কাজ করে যে পাঁচ পানীয়

বড় বড় সব রোগ ডেকে আনে শরীরের বাড়তি ওজন। তারপর যদি থাকে বড় একটা ভুঁড়ি, তাহলে তো জীবনটাই তেজপাতা। কাজে-কর্মে, শুয়ে, বসে, হাঁটাচলায়- কিছুতেই শান্তি পাওয়া যায় না। তাই শরীরের ওজন আর ভুঁড়ি কমানোর কোনো বিকল্প নেই।

তবে ভুঁড়ি কমাবো বললেই তো আর তা কমে যাবে না। বরং পেটের মেদ গলিয়ে ফেলার ইচ্ছে থাকলে শরীরচর্চা ও ডায়েটের মেলবন্ধন ঘটাতে হবে। এর সঙ্গে অবশ্যই খাদ্য তালিকায় যোগ করতে হবে এমন কিছু পানীয়, যা কিনা মেদ আর ভুঁড়ি কমানোর কাজে সিদ্ধহস্ত।

তাই আর অহেতুক দেরি না করে এমনই পাঁচ পানীয় সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক, যেগুলো আপনার ভুঁড়িসহ শরীরের বাড়তি ওজন কমাবে ম্যাজিকের মতো।

জিরা পানির বিকল্প নেই​

ভুঁড়ি কমানোর ইচ্ছা থাকলে প্রতিদিন সকালে এক গ্লাস পানিতে এক চামচ জিরা মিশিয়ে খেয়ে নিন। এতেই ফল পাবেন। কমবে ফ্যাটের আধিক্য।

নিয়মিত জিরা পানি খেলে দেহে বিপাকের হার বেড়ে যায়। ফলে ফ্যাট গলতে সময় লাগে না। গবেষণায় দেখা গেছে, সকালে নিয়মিত জিরা পানি খেলে তেমন একটা খিদেও পায় না। কম খেলে যে ওজন এবং ভুঁড়ি দুই-ই কমবে, তা তো বলাই বাহুল্য।

মৌরি ভেজানো পানি খেতে ভুলবেন না​

অল্প সময়ের মধ্যে ভুঁড়ি কমানোর ইচ্ছা থাকলে আপনাকে মৌরি ভেজানো পানি খেতেই হবে। এতে রয়েছে ডাউরেটিক্স প্রপার্টিজ। এই উপাদান শরীরকে ডিটক্স করার কাজে সিদ্ধহস্ত।

গবেষণায় এ কথা প্রমাণিত যে, নিয়মিত মৌরি ভেজানো পানি খেলে পেটের মেদ কমতে সময় লাগে না। তাই কাল সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর থেকেই মৌরি ভেজানো পানি খেতে ভুলবেন না যেন! এতেই মিলবে উপকার।

জোয়ান জল খাওয়া আবশ্যক

পেটের সমস্যা ছাড়াও একাধিক শারীরিক জটিলতা সমাধানে ধন্বন্তরি হলো জোয়ান। নিয়মিত জোয়ান জল খেলে ওজনও কমবে তরতরিয়ে। জোয়ানে এমন কিছু উপাদান রয়েছে যা কিনা বিপাকের হার বাড়িয়ে দেয়ার কাজে সিদ্ধহস্ত।

তাই কম সময়ে ভুঁড়ি কমানোর ইচ্ছা থাকলে জোয়ান জল খাওয়া আবশ্যক। এতেই ফল পাবেন হাতেনাতে। এমনকি স্বাস্থ্যের সার্বিক হাল ফিরতেও সময় লাগবে না।

লেবু পানি খেলেই কমবে ওজন

ওজন কমানোর কাজে মহৌষধি হলো লেবু পানি। বেশি উপকার পাওয়া যায় গরম পানিতে একটা গোটা লেবুর রস মিশিয়ে খেলে। এতেই বাড়বে মেটাবলিজম রেট। ফলে ওজন কমতে সময় লাগবে না। এমনকি ছোট-বড় রোগের ফাঁদও এড়িয়ে যেতে পারবেন।

গ্রিন টি পান করতে ভুলবেন না যেন!

ওজনের কাঁটাকে নিম্নমুখী করার ইচ্ছা থাকলে প্রতিদিন অন্তত দুই কাপ গ্রিন টি খেতেই হবে। গ্রিন টি-তে রয়েছে ক্যাটেচিনস নামক একটি উপাদান। এই উপাদান ওজন কমানোর কাজে সিদ্ধহস্ত। তাই ভুঁড়ি কমাতে যত দ্রুত সম্ভব গ্রিন টি’র সঙ্গে বন্ধুত্ব করুন।