পাকিস্তানের উত্তর ওয়াজিরিস্তানে সামরিক বাহিনীর একটি গোপন অভিযানে ৬ সেনা নিহত এবং ৮ জন তেহরিক-ই-তালিবান পাকিস্তান (টিটিপি) সন্ত্রাসী নিহত হয়েছেন।
একটি বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ৪ ও ৫ অক্টোবর রাতে উত্তর ওয়াজিরিস্তানের স্পিনওয়াম এলাকায় সন্ত্রাসীদের সঙ্গে নিরাপত্তা বাহিনীর গোলাগুলোর ঘটনা ঘটে। এতে ৬ জন টিটিপি সন্ত্রাসী নিহত হয়।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, অভিযানের সময় ৬ জন বীর সেনা শহিদ হয়েছেন। যাদের মধ্যে ছিলেন লেফটেন্যান্ট কর্নেল মুহাম্মদ আলী শওকত। যিনি ওই অভিযানে নেতৃত্ব দিচ্ছিলেন।
শহিদ হওয়া বাকি পাঁচ সেনা হলেন- ল্যান্স নায়েক মুহাম্মদ উল্লাহ, ল্যান্স নায়েক আখতার জামান, ল্যান্স নায়েক শাহিদ উল্লাহ, ল্যান্স নায়েক ইউসুফ আলী এবং সিপাহী জামিল আহমেদ।
আরেক বিবৃতিতে পাকিস্তান আইএসপিআর জানিয়েছে, স্বাতের চারবাগ এলাকার একটি যৌথ গোয়েন্দা ভিত্তিক অভিযানে দুই জন টিটিপি সন্ত্রাসী নিহত হয়েছে। যার মধ্যে ছিলেন টিটিপির প্রধান নেতা আতা উল্লাহ ওরফে মেহরান।
আতা উল্লাহ স্বাত এলাকায় গত ২২ সেপ্টেম্বর বিদেশী প্রতিনিধিদের বহনকারী পুলিশের একটি গাড়ি লক্ষ্য করে চালানো বোমা হামলায় জড়িত ছিলেন।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, নিরাপত্তা বাহিনী বর্তমানে পুরো এলাকায় সন্ত্রাসীদের নির্মূল করতে অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে এবং এরকম সাহসী সৈনিকদের আত্মত্যাগ সন্ত্রাস নির্মূলের প্রতি তাদের সংকল্প আরও জোরদার করবে।
উল্লেখ্য, চলমান হামলাগুলোতে জড়িত সন্ত্রাসী গোষ্ঠীটির নাম টিটিপি উল্লেখ করা হলেও, গত জুলাই মাসে পাকিস্তান সরকার টিটিপিকে ‘ফিতনা আল খারিজ’ হিসেবে ঘোষণা করেছে এবং সন্ত্রাসী হামলার ক্ষেত্রে সব প্রতিষ্ঠানকে ‘খারিজি’ শব্দটি ব্যবহার করার নির্দেশ দিয়েছে।
পাকিস্তানে সম্প্রতি বিশেষ করে বেলুচিস্তান ও খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশে নিরাপত্তা ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ওপর হামলার সংখ্যা বাড়ছে। ২০২২ সালে টিটিপি গোষ্ঠী সরকারের সঙ্গে একটি ভঙ্গুর যুদ্ধবিরতি চুক্তি ভেঙে দেয় এবং নিরাপত্তা বাহিনীকে লক্ষ্য করে হামলা চালানোর ঘোষণা দেয়। সূত্র: ডন