মুসলমানের বন্ধুত্বের ভিত্তি হতে হবে ঈমান ও ইসলামের ওপর। ভালোবাসা হতে হবে শুধু আল্লাহর তাআলার জন্য। এ ছাড়া যে বন্ধুত্ব কোনো স্বার্থকে কেন্দ্র করে গড়ে ওঠে, তা প্রকৃত বন্ধুত্ব নয়। স্বার্থসিদ্ধি হয়ে গেলে সেই বন্ধুত্ব আর টিকে না।পক্ষান্তরে ঈমানদার ও আল্লাহভীরু লোকদের পারস্পরিক বন্ধুত্ব ও ভালোবাসা যেহেতু আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের জন্য হয়, আর এই দ্বিন ও ঈমান হলো এর ভিত্তি, তাই তাদের বন্ধুত্বে বিচ্ছেদ ঘটে না। আখিরাতেও তাদের বন্ধুত্ব অটুট থাকে, যেমন দুনিয়াতে ছিল। সুতরাং বাছবিচার ছাড়া যে কাউকে বন্ধু হিসেবে গ্রহণ করা ঠিক নয়। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘মানুষ তার বন্ধুর স্বভাব-চরিত্র দ্বারা প্রভাবিত হয়।সুতরাং তোমাদের প্রত্যেকে যেন লক্ষ করে সে কার সঙ্গে বন্ধুত্ব করছে।’ (আবু দাউদ, হাদিস : ৮৮০০)
এ জন্য বন্ধুত্বের জন্য এমন ব্যক্তিকে নির্বাচন করতে হবে, যার মধ্যে বিশেষ গুণ ও উত্তম চরিত্র আছে, যা দেখে মানুষ তার সঙ্গে বন্ধুত্ব করতে আগ্রহী হয়। আল্লাহ তাআলা উত্তম ও পবিত্র বন্ধুত্বের প্রশংসা করে একে জান্নাতে যাওয়ার অন্যতম কারণ হিসেবে অভিহিত করেছেন। হাদিসে এসেছে, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘আল্লাহ তাআলা কিয়ামতের দিন বলবেন, সেসব লোক কোথায়, যারা আমার মহত্ত্বের জন্য পরস্পরে ভালোবেসেছিল? আজ আমি আমার (আরশের) ছায়াতলে তাদের আশ্রয় দেব।
মোটকথা, বন্ধুত্ব হতে হবে পরকালের কল্যাণে। আর পরকালের কল্যাণে দুনিয়ার শ্রেষ্ঠ বন্ধু নির্বাচনে একজন মানুষ হয়ে ওঠে পরিপূর্ণ ঈমানদার। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘যে আল্লাহর (সন্তুষ্টির) উদ্দেশে (কাউকে) ভালোবাসে এবং আল্লাহর উদ্দেশে ঘৃণা করে, আল্লাহর উদ্দেশে দান করে কিংবা না করে, সে তার ঈমান পূর্ণ করে নিল।’ (আবু দাউদ, হাদিস : ৪৬৮১)
মহান আল্লাহ আমাদের দুনিয়া ও আখিরাতে উত্তম সঙ্গীর ব্যবস্থা করে দিন।