রাজশাহীর বাগমারায় ছাত্র-জনতার ওপর হামলার ঘটনায় দায়ের করা মামলায় আওয়ামী লীগের সাত নেতাকে বুধবার (২ অক্টোবর) বিকেলে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
এর আগে মঙ্গলবার (১ অক্টোবর) গভীর রাতে অভিযান পরিচালনা করে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
রাজশাহীর বাগমারা থানা পুলিশ ও হাটগাঙ্গোপাড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের সদস্যরা যৌথভাবে এ অভিযান পরিচালনা করে।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, রাজশাহীর বাগমারা উপজেলা আওয়ামী লীগের বন ও ত্রাণবিষয়ক সম্পাদক প্রভাষক মোসলেম আলী, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মোনায়েম হোসেন, গোয়ালকান্দি ইউনিয়নের দুই নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ফিরোজ সরদার, ভবানীগঞ্জ সরকারি কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি নাইমুল ইসলাম, তাহেরপুর পৌরসভার আট নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি আক্কাছ আলী, হামিরকুৎসা ইউনিয়নের আট নম্বর ওয়ার্ড কৃষকলীগের সাধারণ সম্পাদক বেলাল হোসেন ও উপজেলা কৃষকলীগের যুগ্মসাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম।
রাজশাহীর বাগমারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তৌহিদুল ইসলাম জানিয়েছেন, গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে সরকার পতন হয়। ওই আন্দোলন চলাকালে রাজশাহী-৪ (বাগমারা) আসনের সাবেক এমপি আবুল কালাম আজাদের নেতৃত্বে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা সশস্ত্র হামলা চালায়।
হামলার সময় কয়েকজনকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে গুরুতর আহত করা হয়। এছাড়া ওই সময় তাদের হত্যার উদ্দেশে গুলি চালানো এবং ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। এতে এলাকায় আতঙ্কের সৃষ্টি হয়। এ ঘটনায় সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) আবুল কালামসহ আওয়ামী লীগের কয়েকশ’ নেতাকর্মীর নামে বাগমারা থানায় পৃথকভাবে মোট ছয়টি মামলা হয়েছে। এ মামলায় সাবেক এমপি ইঞ্জিনিয়ার এনামুল হক, ভবানীগঞ্জ পৌরসভার মেয়র আব্দুল মালেক মণ্ডল, গোয়ালকান্দি ইউপির চেয়ারম্যান আলমগীর সরকার, শ্রীপুর ইউপির চেয়ারম্যান মকবুল হোসেন মৃধা ও হামিকুৎসা ইউপির চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেনকে এরই মধ্যে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এরপর মঙ্গলবার রাতে আরও সাতজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
জিজ্ঞাসাবাদ শেষে বুধবার (২ অক্টোবর) বিকেলে তাদের আদালতের মাধ্যমে রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়েছে বলেও জানান ওই পুলিশ কর্মকর্তা।