ইরানি ক্ষেপণাস্ত্র হামলার মুখে জরুরি বাংকারে পালিয়েছে ইসরায়েলি নিরাপত্তা মন্ত্রিসভা। ইসরায়েলি একটি সূত্র এ তথ্য জানিয়েছে।
বার্তা সংস্থা সিএনএন জানিয়েছে, এক ঘণ্টায় তেল আবিব, জেরুজালেম ও হাইফা লক্ষ্য করে ১২টির বেশি ক্ষেপণাস্ত্র হামলা হয়েছে। এছাড়া গোটা ইসরায়েলেজুড়ে ১৮টিরও বেশি ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে ইরান।
মঙ্গলবার তেহরানের স্থানীয় সময় সন্ধ্যায় এই মিসাইল হামলা শুরু করে ইরান।
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা জানিয়েছে, তেলআবিবের আকাশে অগ্নিকুণ্ড ও মিসাইল দেখা গেছে। পশ্চিম তীর থেকে দেখা যায় ইসরায়েলের দিকে ‘নন-স্টপ’ মিসাইল আছরে পড়ছে।
অধিকৃত পশ্চিম তীরের রামাল্লা থেকে ফিলিস্তিনি সাংবাদিক মোহাম্মদ খাইরি আল জাজিরাকে বলেন, ‘জেরুজালেম এবং ইসরায়েলের দিকে পশ্চিম দিকে আকাশে কয়েক ডজন প্রজেক্টাইল দেখা গেছে। মিসাইল প্রায় অবিরাম যাচ্ছে। ইসরায়েলের বিশাল এলাকা জুড়ে সাইরেন বাজছে।’
এর আগে মঙ্গলবারই ইরান যেকোনো মুহূর্তে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়তে পারে বলে ইসরায়েলকে সতর্ক করেছিল মার্কিন কর্মকর্তারা। এর কয়েক ঘণ্টা পরই হামলা চালায় ইরান।
ইসরায়েলি সেনাবাহিনী জানিয়েছে, ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে ইরান। এ হামলার পর ইসরায়েলি নাগরিকদের সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। যদি হামলায় ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ তাৎক্ষণিকভাবে পাওয়া যায়নি। তবে কয়েকজনের আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশিত বিভিন্ন পোস্ট বলা হয়েছে, মঙ্গলবার ইরানের আকাশ আলোকিত হয়ে ওঠে। তাবরিজ, খাসান ও তেহরানের উপকণ্ঠ থেকে ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া হয়।
এর আগে যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে ইসরায়েলকে ইরানের হামলার বিষয়ে সতর্ক করা হয়। এদিকে জাতিসংঘে ইরানের স্থায়ী মিশনের পক্ষ থেকে বলা হয়, ইসরায়েলকে তেহরানের সমুচিত জবাব দেওয়া হয়ে গেছে।
এক্সে দেওয়া বার্তায় বলা হয়, সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের প্রতি ইরানের আইনি, যুক্তিসংগত ও বৈধ প্রতিক্রিয়া জানানো হয়েছে।
জাতিসংঘে ইরানের স্থায়ী মিশন আরও বলেছে, ইসরায়েল যদি এর জবাব দেওয়া সাহস দেখায় বা নৃশংসতার আরও কাজ করে তবে পরবর্তী সময়ে আরও কঠিন প্রতিক্রিয়া দেখানো হবে।
এ হামলা থেকে আঞ্চলিক রাষ্ট্রগুলো ও ইসরায়েল–সমর্থকদের দূরে থাকতে বলেছে ইরান।