লেবাননের বৈরুত-রফিক হারিরি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কন্ট্রোল টাওয়ার সিস্টেম হ্যাক করেছে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী। বৈরুতের বিমানবন্দর হ্যাক করে নিয়ন্ত্রণে নিয়ে ইরানের বিমানকে অবতরণ না করতে সতর্ক করেছে। ইরানের বিমান বৈরুত বিমানবন্দরে নামলে বোমা হামলার হুমকি দিয়েছে ইসরায়েল।
লেবাননের পরিবহন মন্ত্রণালয়ের ওই সূত্রের দাবি, ইসরায়েলি সেনাবাহিনী বিমানবন্দরের কন্ট্রোল টাওয়ারে হ্যাক করেছে এবং অবতরণের চেষ্টা করা ইরানি বেসামরিক বিমানকে লক্ষ্যবস্তু করার হুমকি দিয়েছে। এমন সতর্কতার পর, লেবানিজ কর্তৃপক্ষ ইরানের বিমানটিকে লেবাননের আকাশসীমায় প্রবেশ করতে বাধা দিতে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেয়।ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ এ প্রতিবেদনের বিষয়ে এখনো কোনো মন্তব্য করেনি।
তবে এ ঘটনার কয়েক ঘণ্টা আগে ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর মুখপাত্র ড্যানিয়েল হাগারি এক বিবৃতিতে সতর্ক করে বলেছিলেন, ইসরায়েলি সেনাবাহিনী বৈরুত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরসহ অন্যান্য মাধ্যমে হিজবুল্লাহর কাছে কোনো অস্ত্র স্থানান্তর করতে দেবে না।
ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর মুখপাত্র বলেন, ‘আমরা কোনোভাবেই হিজবুল্লাহর কাছে অস্ত্র হস্তান্তর হতে দেব না। আমরা হিজবুল্লাহর কাছে ইরানি অস্ত্র হস্তান্তরের বিষয়ে সচেতন এবং আমরা তাদের ব্যর্থ করতে কাজ করব।’
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘আমরা ঘোষণা করছি যে, আমরা বৈরুতের বেসামরিক বিমানবন্দরে অস্ত্র বহনকারী শত্রু বিমানকে অবতরণ করতে দেব না। এটি বেসামরিক ব্যবহারের জন্য একটি বেসামরিক বিমানবন্দর এবং এটিকে সেভাবেই থাকতে হবে।’
বৈরুত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর হিজবুল্লাহকে অস্ত্র সরবরাহের জন্য ব্যবহার করা হচ্ছে- ইসরায়েলের এই অভিযোগ শনিবার অস্বীকার করেছেন লেবাননের গণপূর্ত ও পরিবহনমন্ত্রী আলী হামিহ।পরিবহনমন্ত্রীর দাবি, ‘বিমানবন্দরটি একচেটিয়াভাবে বেসামরিক। বৈরুত বিমানবন্দরে সামরিক বিমান চলাচল কেবলমাত্র লেবাননের সেনাবাহিনীর অনুমোদন সাপেক্ষে সম্ভব।’
ইরানের তাসনিম নিউজ এজেন্সি জানিয়েছে, ইরানি কর্তৃপক্ষ শনিবার বৈরুতের রাফিক-হারিরি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ইরানের সব ফ্লাইট পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বাতিল করেছে।