সংসদ সচিবালয়ের দাফতরিক ও ব্যক্তিগত প্রায় ৯০ লাখ টাকা খোয়া গেছে বলে জানানো হয়েছে। সম্প্রতি অনুষ্ঠিত জাতীয় সংসদ ভবনের সার্বিক পরিস্থিতি অবহিতকরণ সম্পর্কিত সভায় এ তথ্য জানানো হয়। খোয়া যাওয়া এ নগদ অর্থ ফেরতের লক্ষ্যে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয় বৈঠকে।
সভায় জাতীয় সংসদ ভবনের বিভিন্ন অনুবিভাগ প্রধানরা অংশ নেন এবং নিজ নিজ অনুবিভাগের সার্বিক পরিস্থিতি তুলে ধরেন। তারা জরুরি ভিত্তিতে কিছু মেরামত কাজ করানোর ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
সংসদ ভবনের বিভিন্ন কার্যালয়, অধিশাখা ও শাখার হারানো ও ক্ষতিগ্রস্ত মালামালের তালিকা প্রস্তুত করে স্ব স্ব অনুবিভাগপ্রধানের কাছে জমা দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়।
সভায় সংসদ ভবন, সংসদ সদস্য ভবন (মানিক মিয়া ও নাখাল পাড়া), পুরাতন এমপি হোস্টেল, মন্ত্রী হোস্টেল, সচিব হোস্টেল ও সংসদ ভবন আবাসিক এলাকার সার্বিক নিরাপত্তা জোরদার করা এবং ওই এলাকার ভাঙা, হারানো ও ক্ষতিগ্রস্ত মালামাল পরিদর্শন করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে ৩টি কমিটি গঠিত হয়। উক্ত কমিটিগুলোকে ক্ষতিগ্রস্ত ও স্তূপীকৃত মালামাল সরেজমিন পরিদর্শন করে শপথ কক্ষে জমা দেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়।
সভায় জাতীয় সংসদ ভবনে ক্ষতিগ্রস্ত কম্পিউটার, প্রিন্টার, স্ক্যানার, ইন্টারনেট সংযোগ, টেলিফোন এক্সচেঞ্জ, লাইন ও সেটগুলো জরুরি ভিত্তিতে মেরামত করার প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেওয়ারও সিদ্ধান্ত হয়।
সভায় বিভিন্ন অনুবিভাগ প্রধানসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, গত ৫ আগস্ট সরকার পতনের দিন সংসদ ভবনে ঢুকে পড়ে বিক্ষিপ্ত জনতা। সেই সময় সংসদ ভবনের বিভিন্ন কক্ষে থাকা সব অর্থ লোপাটসহ সংসদ ভবনের কম্পিউটারসহ মূল্যবান জিনিসপত্র খোয়া যায়।