আন্তর্জাতিক পুরস্কারপ্রাপ্ত অভিনেত্রী আজমেরী হক বাঁধন। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সমর্থন জানিয়ে রাজপথে নেমেছিলেন তিনি। আন্দোলন নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমও ছিলেন সরব। আন্দোলনের সময় কখনো তাকে ফার্মগেট, কখনো শাহবাগ আবার কখনো শহিদ মিনারে ছাত্র-জনতার সঙ্গে তাকে দেখা গেছে।
শুধু তাই নয়, ২০১৮ সালের জাতীয় নির্বাচনে আওয়ামী লীগের পক্ষে সোচ্চার ছিলেন এই অভিনেত্রী। ২০২০ সালে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী আতিকুল ইসলামের পক্ষে প্রচারণায় অংশ নিয়েছিলেন বাঁধন। তাছাড়া শেখ হাসিনার সরকারের রাষ্ট্রীয় একাধিক অনুষ্ঠানেও দেখা গেছে বাঁধনকে।
আবার কখনো বিএনপি নেত্রী ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা ও ভিপি নুরুল হক নুরের সঙ্গেও দেখা গেছে বাঁধনকে।
বিভিন্ন রাজনৈতিক ব্যক্তিদের সঙ্গে ছবি পোস্ট করার কারণে এই অভিনেত্রীকে সুযোগ সন্ধানী হিসেবে মনে করছেন অনেকেই। এখন, নেটিজেনদের মনে প্রশ্ন, দ্বাদশ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের পক্ষে কাজ করা বাঁধন কেন আওয়ামী লীগের বিপক্ষে অবস্থান নিলেন?
সম্প্রতি মুজিব একটি সিনেবার ব্যয় নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগও তুলেছেন বাঁধন। তিনি বলেছেন, কোটি কোটি টাকা বাজেট নিয়ে টাকাগুলো কোথায় গেল? এতে নতুন করে আবার আলোচনায় এসেছেন আজমেরী হক বাঁধন।
এদিকে ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার পতনের পর নারী নির্যাতন ও ধর্ষণের বিচারের দাবিতে শেকলবাঁধা পদযাত্রা কর্মসূচির ডাক দিয়েছিলেন বাঁধন।
তবে কোটাবিরোধী আন্দোলনের সময় গণমাধ্যমকে বাঁধন বলেছিলেন, ‘আমি যেদিন থেকে ছাত্রদের যৌক্তিক আন্দোলনে মাঠে নামি, ওই দিন থেকেই আমাকে ফোনে, খুদে বার্তায়, ফেসবুকে মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে আসছিল। অ্যাসিডও মারতে চেয়েছে। আমি ভয় পাইনি।
তিনি আরও বলেন, বলতেও খুব খারাপ লাগে, সহশিল্পীদের মধ্যে অনেকের সঙ্গে আমার কাজও হয়েছে, তারা ছাত্রদের পক্ষে মাঠে তো ছিলেনই না, উল্টো আমাকে ভয় দেখিয়েছেন, ব্যঙ্গবিদ্রূপ করেছেন।