হায়দার হোসেন গান বানিয়েও যে কারণে মুক্তি দিতে পারেননি হাসিনা সরকারের বিরুদ্ধে

শিক্ষার্থীদের কোটা সংস্কার আন্দোলন শুরু হয়েছিল গত জুলাইয়ে। হাসিনা সরকারের আগ্রাসী আচরণে ব্যাপক প্রাণহানির পর সে আন্দোলন রূপ নেয় সরকার পদত্যাগের এক দফা দাবিতে গণঅভ্যুত্থানে। ছাত্র-জনতার সে অভ্যুত্থানে ৫ আগস্ট পতন হয় হাসিনা সরকারের।

শেখ হাসিনার সরকার যখন নির্বিচারে শিক্ষার্থীদের হত্যা করছে, তখন ‘আমি লিখতে চাইনি’ শিরোনামে একটি গান বানিয়েছিলেন শিল্পী হায়দার হোসেন। গত ১৮ জুলাই গানটি প্রকাশ করতে চেয়েছিলেন, কিন্তু ঠিক সে সময়ই দেশে সব ধরনের ইন্টারনেট সংযোগ বন্ধ করে দেয় সরকার।

যদিও হাসিনা সরকারের তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক দাবি করেছিলেন, ইন্টারনেট তারা বন্ধ করেননি, নিজে নিজে বন্ধ হয়ে গেছে। পরে অবশ্য তদন্তে পলকের দাবি মিথ্যা বলে প্রমাণিত হয়।

ইন্টারনেট বিভ্রাটের কারণে সে সময় নিজের ‘আমি লিখতে চাইনি’ গানটি প্রকাশ করতে পারেননি জানিয়ে সামাজিক মাধ্যমে এই বর্ষীয়ান গায়ক বলেন, ‘এই গানটি আমি লিখেছিলাম কোটা সংস্কার আন্দোলনের জন্য এবং ১৮ জুলাই আপলোড করার উদ্দেশ্যে; কিন্তু পোস্ট করার আগ মুহূর্তে ইন্টারনেট বন্ধ হয়ে যায়। অনেকের অনুরোধে গানটি আবার আপলোড করলাম।’

গানটির কথাগুলো এমন-‘আমি বলতে চাইনি/ তবু বলতে হয়/ আমি লিখতে চাইনি/ তবু লিখতে হয়/ এতগুলো প্রাণ ঝরে গেল/ বিবেক কেমনে নির্বাক রয়?’

ছাত্র-জনতার বিজয়ের পর আরও একটি নতুন গান প্রকাশ করেছেন হায়দার হোসেন। এটির শিরোনাম ‘বিজয় উল্লাস’।

প্রসঙ্গত, বর্তমানে হৃদযন্ত্রের অসুস্থতায় ভুগছেন হায়দার হোসেন। গত জুনে বেশ ক’দিন হাসপাতালেও ভর্তি হতে হয়েছিল তাকে। সেসময় তার হৃদযন্ত্রে একটি করোনারি স্টেন্ট (রিং) বসানো হয়। তবে অসুস্থ থাকা সত্ত্বেও নতুন গান লেখা চালিয়ে যাচ্ছেন এ শিল্পী।