অবশেষে সত্য হলো নারী সুরক্ষা কমিটিকে নিয়ে করা শ্রীলেখার মন্তব্য

টালিউড অভিনেত্রী শ্রীলেখা মিত্র চার বছর আগে সাহস করে নারী নিগ্রহের বিষয়ে মুখ খুলেছিলেন। সেই সময় তিনি জানিয়েছিলেন— বাংলা বিনোদন জগতেও ‘কম্প্রোমাইজ়’ চলে। একই সঙ্গে টালিউডের প্রথম সারির খ্যাতনামাদের দিকে অভিযোগের আঙুল তুলেছিলেন।

মঙ্গলবার টেলি অ্যাকাডেমি, ইমপা, আর্টিস্ট ফোরাম, ফেডারেশনের সভাপতির উদ্দেশে বিনোদন জগতের সবস্তরের নারী খ্যাতনামাদের স্বাক্ষরসংবলিত চিঠিতে ‘নারী সুরক্ষা কমিটি’র কথা উঠতেই ফের সরব শ্রীলেখা।

আনন্দবাজার অনলাইনের এক সাক্ষাৎকারে টালিউড অভিনেত্রী শ্রীলেখা মিত্র চার বছর আগে সাহস করে নারী নিগ্রহের বিষয়ে মুখ খুলেছিলেন। সেই সময় তিনি জানিয়েছিলেন— বাংলা বিনোদন জগতেও ‘কম্প্রোমাইজ়’ চলে। তখন কেউ সে কথা কর্ণপাত করেননি; বরং তাকে মিথ্যাবাদী বলে অবহিত করা হয়।

শ্রীলেখা বলেন. যা বলতে চেয়েছি, সেটাই সামাজিকমাধ্যমে শেয়ার করে নিয়েছি। আপাতত বিষয়টি নিয়ে আলাদা কিছু বলার নেই।

তিনি বলেন, তার কথাই সত্যি হলো। অথচ এ আগে যখন বলেছিলাম, তখন আমি মিথ্যাবাদী, সেই সময় কেউ তাকে বিশ্বাস করেননি। উল্টো ‘মিথ্যাবাদী’ তকমা দেওয়া হয়েছিল তাকে।

গত ৯ আগস্ট থেকে আরজি করকাণ্ডে উত্তাল গোটা দেশ। তরুণী চিকিৎসকের নির্যাতন-মৃত্যু নারী সুরক্ষা নিয়ে নতুন করে ভাবতে বাধ্য করছে সবাইকে। মালায়ালাম ছবির দুনিয়া থেকে বলিউড হয়ে টালিউড। বিনোদন জগতের আলাদা হলেও সমস্যা এক। অভিনেত্রী থেকে টেকনিশিয়ান— কোনো না কোনোভাবে কেউ না কেউ হেনস্তার শিকার। যার জেরে দক্ষিণী বিনোদন জগতে হেমা কমিটি তৈরি হয়েছে। যাকে অনুসরণ করে বলিউডের জন্য এমনই এক কমিটি বানাতে চলেছে মহারাষ্ট্র সরকার। গত আট দিন ধরে একই ভাবনা বাংলা বিনোদন জগতেও।

সে কথা প্রকাশ্যে আসতেই শ্রীলেখার ব্যঙ্গ করে বলেন— হাসব না কাঁদব, জানি না। অবশেষে এখানেও ‘উইমেন্স ফোরাম’ তৈরি হচ্ছে! অথচ এসবের বিরুদ্ধে সবার প্রথমে যে মুখ খুলেছিল, তার নাম নেই। অভিনেত্রীদের স্বাক্ষর-তালিকায় তাকে যে রাখা হয়নি, সে কথাই জানিয়েছেন তিনি।

বিস্ফোরক শ্রীলেখা মিত্র অতীত মনে করিয়ে দিয়ে লিখেছেন, সবাই বলেছিলেন— আমি নাকি ‘ভিকটিম কার্ড’ খেলছি! আমার যোগ্যতা নেই। আমার খামতির জন্যই কাজে নেওয়া হয় না। যারা এসব কথা বলেছিলেন, আজ তারাই একজোট। এবার শ্রীলেখা পাল্টা এই প্রচেষ্টাকে ‘নাটক’ আখ্যা দিয়েছেন।