বগুড়ায় নার্সিং শিক্ষার্থীদের বৈষম্য দূরীকরণের দাবীতে বিক্ষোভ

বগুড়ায় হাতে বিভিন্ন ধরণের প্লেকার্ড প্রদর্শন করতে করতে এবং মুখে ‘‘বৈষম্য নয় সমতা চাই, নার্সিংয়ে সঠিক স্বীকৃতি চাই, স্বাধীন এই বাংলায় ভূয়া নার্স ঠাঁই নাই, আমার সোনার বাংলায় বৈষম্যের ঠাঁই নাই, নার্সকে নার্স বলুন, নিজেকে স্মার্ট করুন, আমি কে তুমি কে নার্স নার্সসহ বিভিন্ন শ্লোগান দিতে থাকেন।” বগুড়ার নার্সিং ও মিডওয়াইফারি শিক্ষার্থী সমাজ।

বুধবার(২১ আগস্ট) দুপুর সাড়ের ১২টার দিকে শহরের সাতমাথায় নার্সিং ও মিডওয়াইফারি শিক্ষার্থী সমাজ এ বিক্ষোভ পালন করে। এসময় নার্সিং পেশাকে বৈষম্যমুক্ত এবং যুগোপযোগী, নার্সিং সেক্টরকে নার্সিং শিক্ষা, নার্সিং সেবা ও নার্সিং প্রশাসন তিনটি স্বতন্ত্র বিভাগে পৃথকীকরণ ও তার সংস্কার সহ এক দফা এক দাবি জানানো হয়

এতে বক্তব্য রাখেন নার্সিং ও মিডওয়াইফারি শিক্ষার্থী সিফাত হোসেন, হাফিজুর রহমান, মাহিদ হাসান, হুমায়ন কবির, আরিফুল ইসলাম ও শাম্মি খাতুন প্রমুখ।

বিক্ষোভ চলাকালে তারা এক দফা এক দাবি তুলে ধরেন। দাবিগুলো হলো-উন্নত বিশ্বের ন্যায় ৪ বছর মেয়াদী বিএসসি ইন নার্সিং কোর্সের চাকরিক্ষেত্রে যথাযথ মুল্যায়ন, উচ্চ মাধ্যমিক পাশের পর ডিপ্লোমা ইন নার্সিং সাইন্স এবং ডিপ্লোমা ইন মিডওয়াইফারি কোর্সকে স্নাতক ডিগ্রিতে রুপান্তর করতে হবে, বর্তমানে নার্সিং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বিভিন্ন পদে সংযুক্তি (অতিরিক্ত দায়িত্ব, চলতি দায়িত্ব, ভারপ্রাপ্ত) নিজ বেতনে এবং প্রেষনের আদেশ বাতিল পূর্বক যোগ্য দক্ষ ও উচ্চশিক্ষিত নার্সদের মধ্যে থেকে প্রফেশনাল বিসিএস/বিভাগীয় পরীক্ষার মাধ্যমে পদোন্নাতি পূর্বক পদায়ন করতে হবে, বৈষম্যহীনভাবে নার্সিং শিক্ষার্থীদের ইন্টার্শিপ ভাতা ২০হাজার টাকা নিশ্চিত করতে হবে, নার্সিং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সকল কোর্সে ভর্তি ক্ষেত্রে লিঙ্গ বৈষম্য অনতিবিলম্বে বন্ধ করে মেধার ভিত্তিতে ভর্তি ব্যবস্থা চালু করতে হবে, নার্র্সিং উচ্চ শিক্ষার ক্ষেত্রে কোটা প্রথা বিলুপ্তি করতে হবে ও সরকারি চাকুরীরত নার্সদের বদলীর ক্ষেত্রে সকল প্রকার হয়রানি বন্ধ করতে হবে, উন্নত বিশ্বের ন্যায় নার্সিং শিক্ষা ব্যবস্থা পোস্ট গ্রাজুয়েট স্পেশালাইজড নার্সিং ডিগ্রি চালু করাসহ আরো বিভিন্ন দাবি তুলেন ধরেন।

বিক্ষোভ শেষে অন্তর্বতীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা বরাবর জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে স্মারকলিপি প্রদান করেন নার্সিং ও মিডওয়াইফারি শিক্ষার্থীরা ।