পশ্চিমবঙ্গে আরজি কর আন্দোলনকে বাংলাদেশের শেখ হাসিনার সরকারের বিরুদ্ধে চলা আন্দোলনের সঙ্গে তুলনা করেছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়। গতকাল বুধবার তিনি বলেন, ‘অনেকে ভাবছেন, বাংলাদেশের মতো এখানেও সরকার ফেলে দেবে। আমি ক্ষমতার মায়া করি না।’
কলকাতার মাল্টি সুপার স্পেশালিটি সরকারি হাসপাতাল আরজি করে এক নারী চিকিৎসককে ধর্ষণের পর খুনের ঘটনায় নজিরবিহীন প্রতিবাদ দেখছে ভারত। দোষীদের শাস্তির দাবিতে দেশজুড়ে প্রতিবাদের ঝড় উঠেছে। কলকাতার তরুণী চিকিৎসকের ধর্ষণ এবং খুনের ঘটনায় দিল্লিতেও পালিত হয় ‘মেয়েরা রাত দখল করো’কর্মসূচি। দিল্লির চিত্তরঞ্জন পার্কে রাত দখল বা ‘রিক্লেম দ্য নাইট’-র ডাক দেওয়া হয়। মুম্বাইয়ের আন্ধেরিতে পশ্চিম ইনফিনিটি মলের সামনেও জমায়েতের ডাক দেওয়া হয়।
মমতার দাবি, ‘আরজি করের ঘটনা নিয়ে সিপিএম এবং বিজেপি রাজনীতি করছে। বাংলাদেশে একটা ঘটনা ঘটে গিয়েছে। অনেকে ভাবছেন, বাংলাদেশের ঘটনা টেনে এনে এখানেও ক্ষমতা দখল করবেন। কিন্তু মনে রাখবেন, আমি ক্ষমতার মায়া করি না।’
আরজি করের ঘটনার প্রতিবাদে যে আন্দোলন চলছে, তা বিশেষ রাজনৈতিক দল পরিকল্পিত ভাবে করাচ্ছে বলে মন্তব্য করেন মমতা। তিনি বলেন, ‘যারা আন্দোলন করছেন, তারা অধিকাংশই ছাত্রছাত্রী নন। রাজনৈতিক দল এটা পরিকল্পিতভাবে করছে। ভাবছে মমতাকে ক্ষমতা থেকে সরাবে। ওরা জানে না, মমতার সরতে আসলে এক সেকেন্ড লাগে। ঠিক যেভাবে আমি রেল থেকে সরে এসেছিলাম। অন্যায়ের কাছে আমি মাথা নত করি না, করব না। দরকার হলে মানুষের কাছে মাথা নত করব, কিন্তু কোনও রাজনৈতিক দলের কাছে নয়।’
মমতা বলেন, ‘যত দিন বাঁচব, মানুষকে ন্যায়বিচার এনে দেব। এই ঘটনা জানার পরেও আমি পুলিশকে দিয়ে অনেক কাজ করিয়েছিলাম। কিন্তু ওরা হাইকোর্টে গেলেন।’
বাংলাদেশে প্রবল জনবিক্ষোভের মুখে গত ৫ আগস্ট পদত্যাগ করে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যান শেখ হাসিনা। ভারতে সেই আন্দোলনের সঙ্গে আরজি কর আন্দোলনের তুলনা করছেন।