রাশিয়ার ৩০ কিলোমিটার ভেতরে ইউক্রেনের অভিযান

ইউক্রেনের সেনারা রাশিয়ার সীমান্তবর্তী অঞ্চল কুরস্কের ৩০ কিলোমিটার পর্যন্ত অগ্রসর হয়েছে বলে জানিয়েছে মস্কো। প্রায় সপ্তাহখানেক আগে রাশিয়ার কুরস্ক শহরে প্রবেশ করে ইউক্রেনীয় সেনারা। সীমান্তবর্তী এ অঞ্চলটিতে ট্যাংকসহ অন্যান্য ভারী অস্ত্র নিয়ে প্রবেশ করে তারা।

সোমবার (১২ আগস্ট) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।

২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে পূর্ণ-মাত্রায় রুশ আক্রমণ শুরু করার পর থেকে এটিই রুশ ভূখণ্ডে ইউক্রেনীয় সেনাদের সবচেয়ে গভীর এবং সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য অনুপ্রবেশ।

রুশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মারিয়া জাখারোভা এই ঘটনার মাধ্যমে রাশিয়ার শান্তিপূর্ণ জনগণকে ভয় দেখানোর জন্য কিয়েভকে অভিযুক্ত করেছেন। আকস্মিক হামলায় অপ্রস্তুত রাশিয়া টোলপিনো এবং ওবশচি কোলোদেজ গ্রামের কাছে অতিরিক্ত সেনা মোতায়েন করেছে। এই দুটি গ্রাম রাশিয়া-ইউক্রেন সীমান্ত থেকে প্রায় ২৫ থেকে ৩০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত।

কয়েক দিন আগে কুরস্কে ইউক্রেনের সেনা ঢুকে পড়ে বলে জানায় রাশিয়া। এরপর রাশিয়ার পক্ষ থেকে কুরস্কে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হয়। এ অঞ্চলের সীমান্ত এলাকা থেকে ৭৬ হাজার মানুষকে সরিয়ে নিয়েছে রাশিয়া।

এদিকে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি রোববার সন্ধ্যায় বলেছেন, রাশিয়া এই কুরস্ক থেকে প্রায় দুই হাজারবার সীমান্ত পেরিয়ে ইউক্রেনে হামলা করেছে। তারই একটা ন্যায্য প্রতিক্রিয়া দেখানো হয়েছে।

ভিডিও বার্তায় জেলেনস্কি বলেন, রাশিয়া গোলা, মর্টার, ড্রোনের মাধ্যমে আক্রমণ করেছে। এই আক্রমণের একটা ন্যায্য প্রতিক্রিয়া দরকার ছিল।

ইউক্রেনের একজন সিনিয়র কর্মকর্তা বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেছেন, হাজার হাজার সৈন্য এই অভিযানে নিয়োজিত রয়েছেন। রাশিয়ান সীমান্ত রক্ষীদের প্রাথমিকভাবে যে ছোট অনুপ্রবেশের কথা বলা হয়েছিল এই সংখ্যা তার চেয়েও অনেক বেশি।

রাশিয়ার কুরস্কের সঙ্গে ইউক্রেনের সামি অঞ্চলটি অবস্থিত। বার্তাসংস্থা এএফপির সাংবাদিক সেখানে ইউক্রেনের সেনাদের ভারী অস্ত্রসস্ত্র দেখতে পেয়েছেন। সামির এক বাসিন্দা বলেছেন, রাশিয়ায় তাদের সেনারা যে হামলা চালিয়েছে এতে তিনি খুশি। কারণ এতে করে রাশিয়ার মানুষ বুঝতে পারবে যুদ্ধ আসলে কেমন।

কুরস্কের ভারপ্রাপ্ত আঞ্চলিক গভর্নর আলেক্সেই স্মিরনভও বলেছেন, শনিবার গভীর রাতে কুরস্কের আঞ্চলিক রাজধানীর একটি বহুতল ভবনে ইউক্রেনের ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছে।কুরস্কের হামলাকে উসকানিমূলক হিসেবে দেখছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।